বিতর্ক ক্ষমতাসীন দলের পেছন যেন ছাড়ছে না! গতকাল কাছাড় জেলার সোনাই বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দলের প্রার্থী তথা বর্তমান উপাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর গুলিতে তিনজন গুরুতর আহত হওয়ায় সমগ্র জেলাব্যাপী উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এদিকে, করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দির বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের বলেরো গাড়িতে রাতে ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) উদ্ধার নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়। উত্তেজিত জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করেন। পুলিশ তিন রাউন্ড গুলি চালায়। জাতীয় নির্বাচন আয়োগ নির্বাচনি কাজে নিযুক্ত প্রিসাইডিং অফিসারসহ চার জনকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
উপর্যুক্ত ঘটনাবলি যখন ব্যাপক চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন সময় রাজ্য সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কপালে ভাঁজ পড়ার মতো আরেকটি খবর চাউর হয়েছে।অসম সরকারের দুর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন আয়োগ। এক সময়ের রাজনৈতিক দোসর বডোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট-এর চেয়ারম্যান হাগ্রামা মহিলারির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পিডব্লুডি দফতরের মন্ত্রী ড০ হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য নির্বাচনি প্রচারে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হল। ফলে, ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের নির্বাচনি সমাবেশে তিনি আর প্রকাশ্যে প্রচার চালাতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, তাঁর বক্তব্যে সবসময় জাতি-বিদ্বেষ ও ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রাধান্য পায়! সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য তাঁর ভাষণ রীতিমতো হুমকিস্বরূপ! বিরোধী নেতৃবর্গের পাশাপাশি আমজনতাও নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই মতামত ব্যক্ত করে জানিয়েছেন, হিমন্তকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার ফলে আগামী দুটি দিন রাজ্যবাসী শান্তিতে থাকতে পারবেন। তাঁর বিদ্বেষপূর্ণ ভাষণ শুনে শুনে রাজ্যবাসীর কান ঝালাপালা হয়ে গেছে!
হিমন্তবিশ্বর বিরুদ্ধে গত পরশু নালিশ জানিয়েছিল বিরোধী দল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের কঠোর সিদ্ধান্তের দরুন পরবর্তী নির্বাচনি যুদ্ধে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে গেল শাসক দল বিজেপিসহ মিত্র জোট। ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মিত্র জোট আশানুরূপ ফলাফল করতে পারবে না বলে ইতিমধ্যে কানাঘুষো শুরু হয়েছে।