আসছে ২২অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজা। আর ২৬অক্টোবর দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। মন্ডপে মন্ডপে ঢাকের বাড়ি, ধুপ-ধুনচি আর কর্পূরের গন্ধ, অঞ্জলী, সন্ধিপূজা ক’দিন পরেই। শারদীয়া দূর্গোৎসব সুশৃংখল ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে উদযাপনের লক্ষ্যে ফকিরহাট উপজেলায় এ বছর ৬৭টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজার আর মাত্র বাকি কয়েক দিন। তবে প্রতি বছরের মতো এই সময় করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায়নি। যদিও এবছর দূর্গাপূজা উৎসব নয় ধর্মীয় রীতিতেই থাকবে সীমাবদ্ধ। করোনাকালীন সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় শারদীয়া দূর্গোৎসবের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে অন্যান্য বছরের তুলনায় ঢিলেঢালা ভাবে। নরম কাদা-মাটি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিল তিল করে গড়ে তোলা দশভূজা দেবী দূর্গার প্রতিমা তৈরির মধ্য দিয়েই দূর্গোৎসবের সব ধরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ায় মন্ডপে সাজসজ্জা ও প্রতিমা তৈরির কাজে সময় পার করছেন আয়োজক কমিটির সদস্যবৃন্দ।
প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরীতে ভাস্করেরা কাজ করে চলেছেন। অনেক মন্ডপে ইতিমধ্যে প্রতিমায় মাটির কাজ শেষে শুরু হয়েছে রূপায়নের জন্য রঙ তুলির আঁচড়। নানান রঙ আর তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেবীর প্রতিচ্ছবিকে। কেউ কেউ বাঙালী সাজে মা দূর্গাকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন ভক্তবৃন্দের জন্য। বৈশ্বিক মহামারী করোনা দূর্যোগকালীন সময়ে সরকারী আইন মেনে ফকিরহাটে বিভিন্ন মন্দিরে হিন্দু ধর্মের বড় ধর্মীয় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২২অক্টোবর থেকে ৫ দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় মাঙ্গলিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এ বৃহৎ উৎসব।