­
­
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিনিয়োগ সম্মেলনে কেমন সাড়া পেলো বাংলাদেশ?  » «   আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল  » «   ২০২৪ সালে লন্ডন ছেড়েছেন ১১ হাজার ধনী, কোথায় যাচ্ছেন তাঁরা  » «   জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে: গভর্নর  » «   মডেল মেঘনা বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলে, অভিযোগ ছাড়াই আটকের যৌক্তিকতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন  » «   ‘আলোয় আলোয় মুক্তির’ সন্ধানে বর্ষবরণ করবে ছায়ানট  » «   মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে গেল  » «   যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ: বিপজ্জনক খেলা, পথ নেই পিছু হটার  » «   বিশ্বকে বদলে দিতে বাংলাদেশ ক্রেজি আইডিয়ার দেশ  » «   প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি  » «   নাসার সাথে চুক্তি, আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা জোটে যুক্ত হলো বাংলাদেশ  » «   সারা দেশে সরকারি ফার্মেসি চালু করছে সরকার  » «   ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে বাটা-কেএফসি ভাংচুর : ৪ মামলা, গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান  » «   গাজায় গণহত্যা: ছয় জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ  » «   গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, সংকুচিত হয়ে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা  » «  

ইংল্যান্ডের শিশুরা স্কুলে ফিরছে: অনুপস্থিতিতে অভিভাবকদের জরিমানা



দীর্ঘ ছয় মাস লকডাউনের পর স্কুলে ফিরেছে ইংল্যান্ডের শিশুরা। কয়েক লাখ শিশু পুনরায় স্কুলে যেতে শুরু করেছে। তবে একই দিনে সব স্কুল খোলছে না। বিভিন্ন শহরে আগামি সপ্তাহে কোলচে স্কুলগুলো। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ইংল্যান্ডের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

স্কুল অবস্থা আগের মতো থাকছে না। পুরো চিত্রই একেবারে বদলে গেছে। শিশুরা আগের মতো এক সঙ্গে বসতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব যেমন এ ভাইরাসকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হযেছে, ঠিক সেভাবেই স্কুলগুলোতে এই সামাজিক দুরত্ব থাকবে।থাকছে তাদের মধ্যে দূরত্ব।

শিশুদেরকে এসব নতুন বিধি-মালার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেন তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারে। কোথায় কোথায় সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে সেটাও তাদের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরা হবে।

প্রতিটি স্কুলের ডেস্ক নতুন করে সাজানো হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী থেকে অপর শিক্ষার্থীর দূরত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি শিশুদের কলম, পেন্সিল এবং ক্লাসরুমের অন্যান্য জিনিসপত্র আলাদা আলাদা প্যাকেটের মধ্যে রাখা হবে। যেন একজনের জিনিস অন্যজন স্পর্শ করতে না পারে।

প্রায় ছয় মাস আগে ইংল্যান্ডের সব স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন। করোনাভাইরাসের বিস্তার যেন শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

তবে এখনই সব শিশুদের স্কুলে আনা হচ্ছে না। অনেক শিক্ষার্থীই এখনও বাসায় বসেই পড়াশুনা করছে। ইংল্যান্ডের স্কুলগুলোতে শিশুদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কিন্তু করোনার এই আবহে ঠিক কতজন বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।কারন সরকার থেকে স্কুলে পাঠানোর জন্য একধরনের কঠোর নির্দেশনা আছে।এমনকি ছেলে-মেয়দের স্কুলে না পাঠালে পিতা-মাতা কিংবা অভিভাবকদের জরিমানা গুনতে হবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারন করা হয়েছে।

এদিকে, ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি মেরি বুসটেস সব কিছুর ব্যবস্থা করার জন্য স্কুলের স্টাফদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ সকালে অনেক শিশুই হয়তো কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিল। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, তারা যখন স্কুলে প্রবেশ করবে তখন নতুন রুটিন সম্পর্কে জানতে পারবে। আবারও আগের মতো শিক্ষক এবং বন্ধুদের পেয়ে তারা নিশ্চয়ই খুব আনন্দিত হবে।

তবে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা সরকারের সমালোচনা করে জানিয়েছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং বিভিন্ন জিনিসের জন্য যথেষ্ট ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন