স্পেনের কাতালোনিয়া রাজ্যের বাংলাদেশী সংখ্যাঘরিষ্ট বার্সেলোনায় একটি স্থায়ী কনস্যুলার সেবা কার্যালয় স্থাপনের দীর্ঘদিনের দাবিটি বর্তমানে বার্সেলোনায় বহুলভাবে উচ্চারিত হচ্ছে।
প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশী অধ্যুষিত এই শহরে কোন স্থায়ী কনস্যুলার সেবা কার্যালয় না থাকায় প্রবাসীদের নানা ভুগান্তি হচ্ছে। যদিও স্পেন দূতাবাস দুমাস অন্তর প্রবাসীদের এ সেবা প্রদান করে আসছে।দূতাবাসের সাম্প্রতিক ঘোষনা অনুযায়ী প্রতি মাসে একবার করে সেবাটি দেওয়ার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি স্পেন দূতাবাস বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমণ্ত্রনালয়ে বার্সেলোনায় একটি স্থায়ি কনস্যুলার অফিস করার বিষয়ে প্রয়োজনীতা সহ সামগ্রিক তথ্যসমৃদ্ধ একটি আনুষ্ঠানিক সুপারিশ জমা দিয়েছে।প্রবাসীরাও দূতাবাসের এই উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
গত ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার ৫২বাংলার লাইভ সংযোগ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন একান্ত সাক্ষাৎকারে,ইউরোপ ব্যুরো প্রধান মো. ছালাহ উদ্দিনের দূতাবাস সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে, বার্সেলোনায় একটি স্থায়ী কনস্যুলার কার্যালয় স্থাপনের বিষয়টি ,অত্যন্ত ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত বার্সেলোনা থেকে মাদ্রিদের দূরত্ব প্রায় ৭০০ কি.মি। একজন প্রবাসীকে বার্সেলোনা থেকে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজের জন্য প্রায় দুইদিন ব্যয় করতে হয়। শুধু এইকাজে যাতায়াত বাবত প্রায় ৩০০ ইউরো খরচ হয়ে থাকে। এইসব সমস্যাগুলোকে বার্সেলোনা প্রবাসীরা দূতাবাসকে বিবেচনায় নিয়ে তাদের দাবী দাওয়া জানিয়ে আসছেন। স্পেন দূতাবাস প্রবাসীদের যৌক্তিক দাবীগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কে অবহিত করে।
বার্সেলোনায় একটি স্থায়ী কনস্যুলার কার্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবীটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমলে নেওয়ায় বাংলাদেশী কমিউনিটি সর্বমহলে বিষয়টিকে খুবই ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন।
বার্সেলোনায় প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশীর বসবাস। এদের মধ্যে আন– ডকুমেন্ট প্রবাসী রয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। সেকারণে অসংখ্য প্রবাসীর প্রতিদিন কোন না কোন কনস্যুলার সেবার দরকার পড়ে।
বার্সেলোনা প্রবাসীরা মনে করছেন স্পেন দূতাবাসের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর নির্দেশনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় একটি স্থায়ী কনস্যুলার সেবা কার্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু হবে।