ব্রিটেনে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরকারের উদ্যোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সবচেয়ে বড় কাজটি শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে।
১৮ মার্চ বুধবার ঘোষণা দেয়া হয়- ৭০হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন লন্ডনস্থ বিশ্বখ্যাত এক্সেল কনভেনশন সেন্টারকে ৪০০০ শয্যায়- করোনা রোগীর বেডে রুপান্তর করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
২৮ মার্চ শনিবার বিকালে সরকারের মূখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০০ রোগীকে আগামী সপ্তাহে হাসপাতালটিতে স্থানান্তর করা হবে পরবর্তি সপ্তাহে বাকী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্নদের জন্য সেন্টারটি তৈরীর কাজ সম্পন্ন হবে। এবং বাকী রোগীদের যুক্ত করা হবে।
করোনা দুরর্যোগ মোকাবেলায় ‘এনএইচএস নাইটেঙ্গেল হসপিটাল লন্ডন‘ নামের এই হাসপাতালটি হচ্ছে বিশ্বের এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। যা যুক্তরাজ্য ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এর নির্দেশনা অনুসারে সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে তৈরী হরা হচ্ছে।
এনএইচএসের চিফ এক্সিকিউটিভ স্যার সাইমন স্টিভেনস বলেছেন- এটা খুব ‘সংক্ষিপ্ত‘ সময়ে নেয়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ‘অভূতপূর্ব উদ্যোগ‘।
স্যার সাইমন গণমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন- বার্মিংহামে- ‘বার্মিংহামস ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টার‘ এবং ম্যানচেস্টারে- ‘ম্যানচেস্টারস সেন্টাল কনভেনশন সেন্টার‘ কে এনএইচএস নাইটেঙ্গেল হসপিটাল হিসাবে তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন- করোনা প্রাদুর্ভাব শুধু মাত্র লন্ডনেই সীমাবদ্ধ নয়। অবস্থা বিবেচনায়, প্রয়োজনে আরও হাসপাতাল তৈরীর উদ্যোগ নিবে সরকার।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ন্যাশনাল হ্যালথ সার্ভিস এর বিশেষজ্ঞ টিমের সাথে কাজ করছেন বাংলাদেশি বংশদ্ভুত বিশ্বখ্যাত সার্জন ডক্টর শফি আহমদ।
২৯মে রবিবার ৫২বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন-‘এনএইচএস নাইটেঙ্গেল লন্ডন’ এর নিকটস্থ চারটি বিখ্যাত তারকা হোটেল কতৃপক্ষ ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ এইএইচএস কর্মীদের জন্য বরাদ্ধ করেছেন।
রোগীদের দ্রুত সময়ে সেবার আওতায় আনতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় এম্বুলেন্স ও পেরামেডিক টিম।
ড. শফি সকলকে আতন্কিত না হয়ে এনএইচএস ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং প্রবীন এবং শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেবার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।