বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১৮৫কিলোমিটার আশংকা করা এই ঘূর্ণিঝড় যেকোন সময় আছড়ে পড়ার জন্য তৈরী বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। ইতিমধ্যে সেদেশের ৪টি রাজ্য- ওড়িশ্যা, তামিলনাডূ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, আজ বুধবার বিকেলে ফনী উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যেতে পারে। উল্লেখিত রাজ্য সমুহসহ আগামী ৩মে ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশ্যায় আঘাত হানতে পারে। এসময় রাজ্যসহ আশেপাশের এলাকাজুড়ে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বিগত ৫দিন ধরে একই জায়গায় অবস্থান করা ফনী ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ঊঠছে, আঘাত হানলে যা ঘূর্ণিঝড় সিডরের চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।
এদিকে ভারতের মৌসম ভবন আরো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ১৮৫ থেকে ২০৫কিলোমিটার বেগে প্রতি ঘন্টায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পুরী রাজ্যের দক্ষিনে আঘাত হানতে পারে বলে প্রবল ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। যার ভিত্তিতে প্রসাশনের নির্দেশে দীঘা-পুরী থেকে সকল পর্যটকদের সরিয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
পুরী থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে। ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় ফণী মঙ্গলবার ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে পুরী অবস্থানের পরে আগামী ৩-৪মে উপকূল ঘেঁষে ঝড়টি এগিয়ে যাবে বাংলার দিকে। শনিবার দিঘার কাছাকাছি অঞ্চল দিয়ে রাজ্যের ভিতরে ঢুকে আসবে। তাই এই সময় দীঘার সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার উপর দিয়ে সোজা বাংলাদেশে ঢুকবে বলে জানা গিয়েছে।
ঝড়ের তান্ডবে যেকোন ধরনের খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে সেদেশের সরকার। উপকূলবর্তী সব জেলেদের সরে যাওয়ার নির্দেশ সহ উল্লেখিত ৪টি রাজ্যের রেলরুট পরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সমস্ত ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে।