শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই‘র ইন্তেকাল  » «   ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিয়ানীবাজারে পথচারী ও রোগীদের মধ্যে ইফতার উপহার  » «   ইস্টহ্যান্ডসের রামাদান ফুড প্যাক ডেলিভারী সম্পন্ন  » «   বিসিএ রেস্টুরেন্ট কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এনএইচএস এর ‘টকিং থেরাপিস’ সার্ভিস ক্যাম্পেইন করবে  » «   গ্রেটার বড়লেখা এসোশিয়েশন ইউকে নতুন প্রজন্মদের নিয়ে কাজ করবে  » «   স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল  » «   কানাডা যাত্রায়  ইমিগ্রেশন বিড়ম্বনা এড়াতে সচেতন হোন  » «   ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত  » «   যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অনুদান  » «   বড়লেখায় পাহাড়ি রাস্তা সম্প্রসারণে বেরিয়ে এলো শিলাখণ্ড  » «   মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রয়েল টাইগার্স স্পোর্টস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  » «   গোলাপগঞ্জ স্যোশাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন  » «   যুক্তরাজ্যবাসি  সাংবা‌দিক সাইদুল ইসলামের পিতা আব্দুল ওয়াহিদের ইন্তেকাল  » «   ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটি‘র নতুন কার্যকরী কমিটির অভিষেক  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

উপজেলা নির্বাচনঃ বিয়ানীবাজার
সংসদ নির্বাচনের ঢামাঢোল শেষ না হতেই আবারও কড়া নাড়ছে আরেকটা নির্বাচন। আভাস পাওয়া যাচ্ছে, উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামি মার্চ মাসে। নির্বাচন কমিশন এ পথ ধরেই এগুচ্ছে।আর সেকারণে উপজেলা চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পেতে এখনই শুরু হয়েছে দৌড়োদৌড়ি। তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা-কেন্দ্র পর্যন্ত লবিং এ মেতে উঠেছেন দলীয় বিশেষত ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। বর্তমান রাজনৈতিক দিক বিবেচনায় বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে আসবে কি-না তা নিয়েও আছে সংশয়।কিন্তু নির্বাচনের ঘোষণা আসলে তা বাস্তবায়ন হবেই।আর সে হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দৌড়ঝাপ একটু বেশি থাকবেই। কারণ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে না আসলে সংখ্যাগরিষ্ট আসনে এবারও বিজয়ী হবে আওয়ামীলীগ কিংবা তার মিত্ররা। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমরা শুরু করছি নতুন আয়োজন। আমরা চাইবো বিভিন্ন উপজেলার নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণধর্মী লেখা প্রকাশ করতে। আমরা চেষ্টা করবো এ নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে। -সম্পাদক



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিয়ানীবাজার উপজেলা (সিলেট জেলা)  আয়তন: ২৫৩.২২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৫´ থেকে ২৪°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৩´ থেকে ৯২°১৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কানাইঘাট এবং জকিগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে বড়লেখা, পূর্বে জকিগঞ্জ উপজেলা ও ভারতের আসাম রাজ্য, পশ্চিমে গোলাপগঞ্জ উপজেলা। ভারতের সাথে ১২.০১ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। মোট বনাঞ্চল ১৫.৫৪ বর্গ কিমি। ছোট বড় টিলা ১৭০।

জনসংখ্যা ২১০৬৭৩; পুরুষ ১০৪৫৫৬, মহিলা ১০৬১১৭। মুসলিম ২০২৮০০, হিন্দু ৭৭৭৬, বৌদ্ধ ৮, খ্রিস্টান ২১ এবং অন্যান্য ৬৮।ভোটার সংখ্যা :- পুরুষ: ৬৫,০৭৭ জন। মহিলা: ৭১,৪১১জন। মোট: ১,৩৬,৭৮৮ জন।
ভোট কেন্দ্রঃ  ৭২ টি। বুথ সংখ্যা- ২৮৮ টি, (জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য)।  ৩৩৮ টি (উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য)।

প্রধান নদী: সুরমা, কুশিয়ারা, সোনাই। কালাউচি খাল ও সাদা খাল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসনিক থানা গঠিত হয় ১৯৩৮ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভীষণ ২০২১ ও গ্ৰামকে নগরীতে পরিণত করার যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটা অংশ হবে এবারের উপজেলা নির্বাচন। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের বা সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রামের মানুষের  কাছে পৌঁছে দিতেই এ নির্বাচন।

একাদশ জাতীয় সংসদের পরপরই বিয়ানীবাজারে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী জননেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ ফের বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে জয়ী হওয়ার উচ্ছ্বাস বেড়েছে। প্রবাসী নেতৃবৃন্দ যারা দেশে জননেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি র পক্ষে কাজ করতে দেশে অবস্থান করছিলেন তাদের কেউ কেউ এখন নতুন উদ্যম নিয়ে মাঠে নেমেছেন।নির্বাচনে প্রদতদ্বন্ধিতা করার জন্য বিভিন্ন রাজনেতিক কৌশল কিংবা পথ খোঁজছেন ।

এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে। এজন্য বর্তমান ও নতুন মিলে হাফ ডজনের উপরে আ’লীগে প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে কি-না সন্দেহ রয়েছে। যদি নেয় তাহলে ইচ্ছুক প্রার্থীরা এখনো মুখ খুলেন নি। তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং এক ইউপি চেয়ারম্যানের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছে।

জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলা নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করবে ইসি। কমপক্ষে ছয়ধাপে এ নির্বাচন মার্চে শুরু হবে। বিয়ানীবাজারে এপ্রিলের যেকোন সময় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনেক আগে থেকেই তাদের নির্বাচনি প্রচারণায় হোম ওয়ার্ক শুরু করলেও এখন অনেকটা প্রকাশ্যেই প্রাক-প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছেন।নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে শুরু করে জয়-পরাজয় নির্ধারণ পর্যন্ত প্রবাসীরা নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেন। এজন্য প্রবাসী লবি নিজেদের অনুকূলে রাখতে কেউ প্রকাশ্যে আবার অনেকে টেকনিক্যালি কথাবার্তা ও সম্পর্ক স্থাপন করে যাচ্ছেন।বিগত নির্বাচনে একজন প্রবাসী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তবে দলের ভেতরে এবারের প্রার্থী নির্বাচনটা আরও কঠিন। কারণ গত পৌরসভা নির্বাচনেও কিছু নেতা বিফল হয়েছেন।বিগত উপজেলা নির্বাচনেও দুএকজন প্রার্থী তাদের কাংখিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারেন নি।

সম্ভাব্য কয়েকজন প্রার্থীর সাথে আলাপ করে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়াতে শেষ পর্যন্ত দল ঐক্যমতে পৌছাতে পারবে নি-না তা নিয়ে কেউ কেউ এখনই সন্দেহ প্রকাশ করছেন।আর সে হিসেবে দলের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনাও উড়িযে দেয়া যাবে না।তবে এখন পর্যন্ত দলের সকল সম্ভাব্য প্রার্থীরাই দলের শৃংখলা মেনেই বলছেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন না।

বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে না হলেও প্রার্থী নির্ধারণ হয়েছে দলীয়ভাবে। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কয়েকজন আগ্রহী ছিলেন। আলোচনার মাধ্যমে দু’তিনজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। কিন্তু ঐক্যমত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সদস্য শামীম আহমেদ ও জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মো. আব্দুল বারীর মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী নির্ধারণে দলীয় ফোরামে ভোটাভুটি হয়।এতে আতাউর রহমান খান বেশি ভোট পেলে তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

এবার ভোটের সুযোগ নেই, তবে উপজেলা আ’লীগ বর্ধিত সভা আহ্বান করে আলোচনার মাধ্যমে কমপক্ষে তিনজনের নাম জেলায় প্রেরণ করবেন। পরবর্তীতে জেলা ও উপজেলা আ’লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে সম্ভব হলে একজন নতুবা সবার নাম এবং প্রয়োজনে বিশেষ ব্যক্তির নামে সুপারিশ করে কেন্দ্রে প্রেরণ করবেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলায় অতি পরিচিত একটি শব্দ ‘খলিফা’ । এ নির্বাচনে হয়ত খলিফারা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে না।জাতীয় রাজনীতি এবং ক্ষমতার পালাবদলের হাওয়ায খলিফা ইজমের প্রভাব কিছুটা লোপ হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় এবারে যাদের নাম উঠে আসছে, তাদের মাঝে আছেন বিগত নির্বাচনে পার্টির অভ্যন্তরে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অর্থা্ৎ ভোটাভোটিতে অংশ নেয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, বিয়ানীবাজার কলেজের সাবেক ভিপি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শামীম আহমেদ, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মো. আব্দুল বারী,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আব্দুল হাছিব মনিয়া, লাউতা ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ জলিল, উপজেলা আ’লীগের সদস্য ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল খালিক।

শোনা যাচ্ছে, বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সভাপতি,লন্ডনের বাংলাদেশ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের উপদেষ্টা, মো. দেলওয়ার হোসেন প্রার্থী হবেন। তবে  তার সাথে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘এটা সময়ের প্রেক্ষাপটে বলা যাবে, বিভিন্ন ভাবে কমিউনিটির অনেকই প্রবাসীদের পক্ষে কাজ করতে অনুরোধ ও করছেন’ বলে জানান এই প্রবাসী নেতা।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা  মো. আব্দুল রাজ্জাকের এর ভাতিজা পৌর আ’লীগের সহ সভাপতি যুক্তরাস্ট্র প্রবাসী খছরুল হক খছরু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লব এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। তাঁরা দুজনই গত উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন।

এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে প্রার্থী হতে পারেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাজমুল হোসেন পুতুল, সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদ, আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট রেজা আহমদ।

অপরদিকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিয়ানীবাজার উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম ও উপজেলা জাসদের সভাপতি মজির উদ্দিন আনসারের নামও উঠে এসেছে ইতিমধ্যে ।

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন