­
­
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
গাজায় গণহত্যা: ছয় জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ  » «   গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, সংকুচিত হয়ে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা  » «   গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন : প্রতিবাদে সামিল বাংলাদেশ  » «   যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ: বাংলাদেশের জন্য সুযোগও সৃষ্টি হতে পারে  » «   ১০০ ডলারের টি-শার্টের শুল্ক ৪৯ ডলার!  » «   বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর অস্থায়ী ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির  » «   ট্রাম্পের শুল্ক ধাক্কা কীভাবে সামলাবে বাংলাদেশ  » «   ইউনূস-মোদীর প্রথম বৈঠকে হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইল বাংলাদেশ  » «   বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭% শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের, পোশাক শিল্পে বড় ধাক্কা  » «   জাফলং ঘুরতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো কিশোরের  » «   ১৭ বছর পরে জাতীয় ঈদগাহের ঈদ জামাতে সরকারপ্রধান  » «   ঈদ আসে, গাজায় আনন্দ আসে না  » «   এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া  » «   মিয়ানমারে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরও হামলা চালাচ্ছে জান্তা বাহিনী  » «   ঈদযাত্রা: শুক্র ও শনিবার ঢাকা ছেড়েছে ৪১ লাখ সিমধারী  » «  

আমিরাতের ‘ফ্রাইডে মার্কেট’ দিনরাত জেগে থাকে



ফ্রাইডে মার্কেট। নামের সাথেই যেন জুড়ে আছে নানা কৌতুহল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ঐতিহ্যবাহী বাজারে কেনাকাটা করার আনন্দ যেন বিশ্বের কোন বৃহত্তম মলের চেয়েও বেশি।

আরব আমিরাতের পাথরঘেরা প্রদেশ ফুজিরাহ দেখতে আশা পর্যটকদের যদি ফ্রাইডে মার্কেট দেখানো না হয়, তাহলে তাদের ফুজিরাহ দেখা ই হয় নি I তাই পর্যটকদের গাড়ি এখানে থামানো কোন আশ্চর্যের ব্যাপার না ।

বাজারটির নাম ফ্রাইডে মার্কেট হলেও এটি প্রতিদিন খোলা থাকে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এ মার্কেট রাত দিন জেগে থাকে। এমনকি রাতের মাঝামাঝি রাস্তায় ভ্রমণ করলে আপনার জন্য একটি মিষ্টি কলা বা আপেল বিক্রি করতে কেউ না কেউ জেগে থাকে এ মার্কেটে।

ফ্রাইডে মার্কেটের প্রকৃত উৎস খুবই রহস্যের চাদরে ঢাকা। কিন্তু কিছুটা লোক মুখে জানা গেছে যে কয়েক দশক আগে তিনটি আমিরাতি কৃষক মসজিদে আসতেন এবং জুম্মার নামাজের পর তারা তাদের ট্রাকগুলি আনলোড করতেন এবং রাস্তার পাশের স্টলগুলিতে তাদের চাষ করা পণ্য বিক্রি করতেন ।

ফ্রাইডে মার্কেট কে আরো সুন্দর করে তুলার অনেক নতুন-নতুন প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে এবং পেট্রল স্টেশন ও একটি আধুনিক স্পর্শ যোগ করেছে। ফ্রাইডে মার্কেটে এখন সময়ের সাথে, অনেক কম আমিরাতি কৃষকদের দেখা যায় l এখন বাজারে দেখা যায়, বাংলাদেশী ফল সবজি বিক্রেতা, পাকিস্তানী ও আফগানী কার্পেট বিক্রেতা, এবং ভারতীয় ও মিশরী ক্যাফেঅলাদের l রয়েছে বাংলাদেশীদের সিংহভাগ বিচরণ।

  • এই বাজারটির একটি আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে, এখানে আপনি গাছপালা, শাক সবজি থেকে শুরু করে, অনেক ধরণের সরঞ্জাম পাবেন l মলের দেয়ালের বদ্ধ পরিবেশে যারা কেনাকাটা করা পছন্দ করেন না, তাদের জন্যে এটি বিশেষ একটি জায়গা l আপনি যদি চারপাশে তাকান তবে পাহাড় ও খামার দেখতে পাবেন যা মাটির একটি সুদৃঢ় অনুস্মারক এবং এই বাজারের অনেক সামগ্রীই সেখান থেকে এসেছে।

এই বাজারটিতে আজও আছে, দর দাম করার মজা, যা অনেক মলের ফিক্সড প্রাইসের সীলের নিচে হারিয়ে যাচ্ছে l আর এমন ঐতিহ্যবাহী কিছু স্থান কে বাঁচিয়ে রাখতে, আমাদের বার বার ছুটে যাওয়া উচিত, ফুজিরার সেই ওয়াদি গুলোতে, যেখানে এই ‘ফ্রাইডে মার্কেট’ টি অবস্থিত।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন