মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮’ এর গ্র্যান্ড ফাইনালে সেরা ১০ সুন্দরীদের প্রথম রানার্স আপ হয়েছে সিলেটের বিয়ানীবাজারের মেয়ে নিশাত নাওয়ার সালওয়া।
বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের কানলী গ্রামের বাংলাদেশে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এর পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহা-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বাদলের মেয়ে।
চূডান্ত পর্বে তিন প্রতিযোগীর মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা চলে। নিশাত নাওয়ার সালওয়াকে পেছনে ফেলে পিরুজপুরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে বুশরা।
সোমবার গ্র্যান্ড ফিনালের আসর বসেছিল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার রাজদর্শনে সেরা দশ থেকে পর্যায়ক্রমে সালওয়া, সেরা পাঁচ, সেরা তিন অতিক্রম করে সেরা দুইয়ে জায়গা করে নেন। তবে উত্তেজনাকর শেষ মুহূর্তে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ রানার্সআপ নির্বাচিত হন বিয়ানীবাজারের এ কৃতি সন্তান।
খবরটি বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের কানলী গ্রামে আনন্দে উদ্বেলিত নিশাত নাওয়ার সালওয়া স্বজনরা। গ্রামজুড়ে যেন ছড়িয়ে পড়েছে ঈদের আনন্দ। সবার মুখেই একই কথা ‘আমাদের সালওয়া মিস ওয়র্ল্ড বাংলাদেশ রানার্সআপ’। নিশাত নাওয়ার সালওয়া’র এই অসামান্য সফলতার ঢেউ লেগেছে বিয়ানীবাজার উপজেলা জুড়ে। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে সালওয়া কে অভিনন্দন জানিয়ে পোষ্টও দিচ্ছেন।
সালওয়া’র ফুফু ডা: রওশনারা বলেন, বিয়ানীবাজারের মত একটি রক্ষণশীল এলাকার মেয় হিসেবে সালওয়া যা করেছে সেটা এক কথায় অসাধারণ। আমরা তার এ কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে খুব খুশি হয়েছি এবং তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সে বাংলাদেশের নারী জাগরণে ও আর্ত সামাজিক উন্নয়নে কাজ করবে এই আশা ব্যক্ত করছি।
কানলী গ্রামের বাসিন্দা ও সালওয়া’র চাচা মাহমুদুল হাসান বলেন, সালওয়া আমাদের গর্ব। সে শুধু আমাদের গ্রামের মুখ উজ্জল করেনি সে আমাদের উপজেলাকে গর্বিত করেছে। এখন ভালোই লাগে এই ভেবে যে, ও এলাকার জন্য সুনাম বয়ে আনছে। আমরা দোয়া করি সালওয়া আরো সামনে এগিয়ে যাবে।
কানলী গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, সালওয়ার আমাদের গর্ব তার সফল্য আমরা গর্বিত। আমরা গ্রামবাসী তার সাফল্য আমরা আনন্দিত। গ্রামের কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে তার গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেব।
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের পুরো খবর পড়ুন এই লিংকে এই লিংকে