বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রাষ্টিদের নিয়ে ২৯ শে অগাস্ট, বুধবার পূর্ব লন্ডনের মাইক্রো-বিজনেস সেন্টারে একটি জনাকীর্ণ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের ট্রাস্টি আতিকুর রহমান আনার সভাতিত্বে এবং ইকবাল হোসেন বুলবুল ও ফরহাদ হোসেন টিপুর পরিচালনায় সভার শুরুতেই পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন সংগঠনের ট্রাস্টি বিশিষ্ট আলেম মাওলানা জিল্লুর রহমান চৌধুরী। ।
সভা আহবানকারীদের মধ্য থেকে অনিবন্ধিত ট্রাস্টিদের পক্ষ হয়ে ২০১৩-২০১৫ সালের কার্যকরী পরিষদের বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন ট্রাস্টি ছরওয়ার আহমদ।
সভায় অভিযোগে বলা হয়- ‘প্রায় আড়াই বছর পূর্বে ট্রাস্টের নির্বাচন, সংবিধান এবং হিসাব নিয়ে সমস্যা সমাধান না করার কারণে ২০১৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় ট্রাস্টের তখনকার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক,ট্রেজারসহ সকল সাধারণ ট্রাস্টিরা ট্রাস্টের কার্যক্রম স্থগিত করে। এবং ট্রাস্টের সিনিয়র ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলহাজ সামছুদ্দিন খাঁন এর কাছে হস্থান্তর করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন । ১৪ ফেব্রয়ারীর এই দিনটিই ছিল কার্যকরী কমিটির মেয়াদের শেষ দিন।’
কিন্তু দুংখজনক হলেও সত্য যে, কার্যকরী পরিষদ পরবর্তিতে ঐ সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন ছাড়াই, এমনকি অনেক ট্রাস্টিদের না জানিয়ে-ই চলিত বছরের ২৯শে এপ্রিল ট্রাস্টের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন । এছাড়াও ট্রাষ্টিদের মতামত না নিয়ে তাদের ট্রাস্টিশীপ বাতিল করে সদস্য হিসাবে রেজিস্টার্ড করা শুরু করেন। ’
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নইম উদ্দীন রিয়াজ, প্রতিষ্ঠাতা ট্রেজারার এম সাব উদ্দীন, ট্রাস্টি সেলিম উদ্দিন এমপি, আফাজ উদ্দিন, মৌলানা জিল্লুর রহমান চৌধুরী, এম এ গণি, সাহাব উদ্দিন চঞ্চল, মনোজ্জির আলী, ওহিদ উদ্দিন, আব্দুল করিম নাজিম, ছরওয়ার আহমদ, ব্যারিষ্টার আবুল কালাম চৌধুরী, ব্যারিষ্টার আবু তাহের, নাজিম উদ্দিন, লুৎফুর রহমান ছায়াদ, ইসলাম উদ্দিন, আতাউর রহমান আতা, জগলু উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, আব্দুল কাদির মুরাদ, ইফতেখার আহমদ শিপন, জালাল উদ্দিন এবং প্রগতি এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি হাবিবুর রহমান ময়না।
সভায় বক্তারা অভিযোগ তুলেন- ‘একটি ট্রাস্টের প্রায় দেড়কোটি টাকার তহবিল থাকলেও তার সঠিক হিসাব নাই, দুইটি সংবিধান, নির্বাচন ব্যাক্তি বিশেষের ইচ্ছামত হয়। এইগুলো মারাত্নক ভুল ও ট্রাস্টের ক্ষতি সাধন করে চলেছে । ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটির প্রতিটি সম্মানিত সদস্য পাঁচশত পাউন্ড দিয়ে ট্রাস্টি হলেও আজ তাদের অগোচরে তাদেরকেই নতুন করে মেস্বার হতে বলা হচ্ছে।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ট্রাস্টিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘যতো দ্রুত সম্ভব হয় সংশ্লিষ্ট সবাই ট্রাস্টের এই সমস্যাগুলো সমাধান করে ঐতিহ্যবাহী এই ট্রাস্টের সাধারণ গতি ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে । মনে রাখতে হবে ট্রাস্ট হল সকল ট্রাষ্টির । কোনো ব্যাক্তি, দল,গোষ্টীর নয় ।’
‘এই পরিস্থিতি থেকে ট্রাস্টকে বাঁচানোর জন্য এলাকার এবং ট্রাস্টের সিনিয়র মুরব্বিদের সহযোগিতা নিয়ে এর সমাধানের জন্য সকল ধরণের প্রচেষ্টা করা প্রয়োজন। ট্রাস্টকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে কোনো ধরণের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়া উচিত হবেনা ।’