­
­
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সুইডেনে অতর্কিত বন্দুক হামলায় নিহত ৩  » «   ইতালিতে বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের  » «   ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানিতে চমক: চীনের ঘাটতি পূরণ করছে বাংলাদেশ  » «   কানাডায় লিবারেলদের জয়, কী কারণ  » «   রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে?  » «   ইউরোপ ৪ দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন!  » «   ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি  » «   বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার  » «   নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ  » «   ৬০ টন পণ্য নিয়ে সিলেট থেকে উড়ল প্রথম কার্গো ফ্লাইট  » «   রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার  » «   শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি  » «   ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার কবি দাউদ হায়দার আর নেই  » «   গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি আটক  » «   ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কোন দিকে মোড় নিতে পারে?  » «  

কলমাকান্দায় টানা বর্ষণে আমন ধান পানির নীচে



নেত্রকোণার কলমাকান্দায় তিন দিনের ভারী বর্ষণে প্রায় ১ হাজার হেক্টর আমন ধানের জমি নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত তিন দিনে আজ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টায় পযন্ত ১১৩ মি. মি. বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে কলমাকান্দায় ।

গত মঙ্গলবার সকাল থেমে থেমে টানা ৩ দিন ভারী বর্ষণে কারণে উপজেলার সীমান্তবর্তী গনেশ্বরী নদী , মঙ্গলেশ্বরী নদী, মহাদেও নদী ও পাঁচগাও ছড়ায় পাহাড়ি ঢলের কারণে  উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিপদসীমার ২৪ সে. মি. নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গেলে দেখা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে টানা ৩ দিন ভারী বর্ষণে কারণে উপজেলার রংছাতি, খারনৈ, নাজিরপুর, কৈলাটি,কলমাকান্দা, পোগলা ও বড়খাপন ইউনিয়নের পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলের আমন ধানের ক্ষেত প্রায় ১ হাজার হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে । ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের চিনাহালা গ্রামের কৃষক আবুল হাশেম (৭৫) কিছুদিন আগে অনেক আশায় ১৮ কাঠা জমিতে আমন ধান রোপন করেছিলাম। কিন্তু পানি বৃদ্ধির ফলে রোপন করা আমন ধান ক্ষতি হলে গেল। আমার বয়সে এসময় এরকম বৃষ্টি হতে খুব কমই দেখেছি।

উপজেলার পাচুউড়া গ্রামের কৃষক জসীম উদ্দিন আক্ষেপ করে বলেন, ৫০ কাঠা জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করেছিলাম। টানা বর্ষণে বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত তলিয়ে গিয়ে পঁচন ধরেছে। এমনকি আমন ফসল না হলে গো খাদ্য অভাব দেখা দিবে। আসমে আমরা কেমনে চলবাম খুব চিন্তায় পড়ে গেছি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারুক আহমেদ নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বছর উপজেলায় ১৫,২৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা  হয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির  পানিতে নিম্নাঞ্চলে প্রায় ৫০০ হেক্টর আমন ধান জমি নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রংছাতি ইউনিয়নে বেশি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন