সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে, মুজিব বর্ষে, আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাননীয় ডেপুটি হাই কমিশনার জনাব জুল্কারনাইন বলেন ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলনের সিঁড়ি বেয়ে অর্জিত হয় বাঙ্গালীর স্বাধীনতা।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারী সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি, সাবেক মেয়র সেলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙ্গালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ; ওই রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বাঙ্গালীর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা আজ বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত। বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিন এখন কেবল আর বাংলার নয়, বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার দিন। রাষ্ট্রীয় সীমানা ছাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
সভায় বক্তব্য রাখেন, লন্ডন টাওয়ার হেম্লেটস কাউন্সিলের স্পিকার জনাব আহবাব হুসেন, সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিস্টাতা সাধারন সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব দেওয়ান গউস সুলতান, ৭ মার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলার নুরউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান, সর্ব ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা এডভোকেট শাহ ফারুক আহমেদ, সহ- সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ, গ্র্যজুয়েট ক্লাব ইউকে এন্ড ইউরোপের সভাপতি, সাবেক সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আজহারুল ইসলাম শিপার, সহ-সভাপতি ডক্টর আনিছুর রহমান আনিছ, জামাল আহমেদ খান, সুইডেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের মহিলা সম্পাদিকা মেহের নিগার চৌধুরী যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হুসনে আরা মতিন, নাজমা হুসেইন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মিসেস রুবা তাঞ্জিদা, ওয়েস্ট লন্ডন আওয়ামীলীগের আব্দুল হান্নান , ইস্ট লন্ডন আওয়ামী লীগের সৈয়দ গুলাব আলী, আবুল ফয়েজ সহ আরো অনেকে।
অনুস্টানের শুরুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং টিভি প্রেজেন্টার রুপী আমিনের কন্ঠে একুশের অমর গান; আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি… আমি কি ভুলিতে পারি… গানের এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুস্টানের সুচনা করা হয়।