হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে ওসি মোঃ এমরান হোসেন সহ উভয় পক্ষের অর্ধ-শতাধিক লোক আহত হয়েছে। লুটপাটও ভাংচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের মাতাপুর গ্রামে।
২০ফেব্রুয়ারী শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিঃ থেকে ১১টা ৪৫মিঃ পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় স্থানীয় আদর্শবাজারে। মাতাপুর গ্রামের বিরোধপূর্ন দুটি গোষ্টির মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানাপুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাতাপুর গ্রামের রমজান মিয়া ও এসএম হাফিজুরের গোষ্টির মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।
শনিবার দিবাগত রাতে স্থানীয আদর্শবাজারের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পক্ষ‘দ্বয়ের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ এমরান হোসেনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় দাঙ্গাকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে ওসি মোঃ এমরান হোসেন আহত হন।
আহত ওসি বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে ওসি তদন্ত প্রজিত কুমার দাশ নিশ্চিত করেছেন।
রমজান মিয়ার গোস্টির গুরুতর আহত শিশু মুবিন মিয়া(১১) কে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়েছে।
আহত রমজান মিয়া অভিযোগ করে জানান, তাদের মালামাল লুটপাট ও ভাংচুর করেছেন এসএম হাফিজুর রহমানের পক্ষের লোকজন।
অন্যদিকে এসএম হাফিজুর রহমানের লোকজন রমজান মিয়ার পক্ষের লোকজন লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন রমজান মিয়ার লোকজনের বিরুদ্ধে।
সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বানিয়াচং থানার ওসি(তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ জানান, বিবাদমান দুটি গোস্টির লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অপরাধীদেরকে ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।