বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ টীম পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী ১০,১১,১২ ও ১৩ অক্টোবর বার্সেলোনা শহরের একটি হলরুমে প্রায় ১৫শত প্রবাসীদের মধ্যে কন্স্যুলার সেবা প্রদান করেছে।
সকাল ৯টা থেকে কাতালোনীয়া রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে পূর্ব নির্ধারিত সিরিয়াল অনুযায়ী সেবা নিতে আসেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। টানা চারদিন এ সেবা প্রদান করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সাম্প্রতিক সময়ে স্পেনে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ধাপে বৃদ্ধি পাওয়াতে দূতাবাস নির্ধারিত- ‘প্রতি মাসের বার্সেলোনায় সেবা কার্যক্রম‘ চালু রাখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি বলে ৫২বাংলাকে জানিয়েছেন- স্পেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান এম হারুন আল রশিদ।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে দূতাবাসের সেবা কার্যক্রম সুনিদৃষ্ট দিন ও সময়ে দেয়া হবে। এজন্য সেবা গ্রহীতাদেরকে দূতাবাসের নোটিশ দেখে, সেবার বিষয় জেনে, নিদৃষ্ট তারিখে এপয়েন্টম্যান্ট করার অনুরোধ করা হয়েছে।
কোভিড ১৯ সংকট সময়ে সকলের জন্য সেবা নিশ্চিতকরণে বার্সেলোনা কমিউনিটির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতার আহ্ববান জানিয়েছে দূতাবাস।
মাদ্রিদে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার দূতাবাসের সেবা কার্যক্রমটি পরিদশন করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান এম হারুন আল রশিদ এর নেতৃত্বে চার দিনের সেবা দিতে আসেন দুতাবাসের প্রথম শ্রম সচিব মো.মুতাসসিমুল ইসলাম,দূতাবাস কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম,এএসএম রেজাশাহ পাহলভী ও অফিস সহকারী মো.শফিক ইসলাম।দূতাবাসের সেবাসমূহের মধ্যে ছিল প্রবাসীদের এমআরপি নতুন পাসপোর্ট বিতরণ, নতুন আবেদনকারী এমআরপি’র এনরোলমেন্ট ,পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন গ্রহণ,৬ বছরের কমবয়সী বাচ্চাদের এমআরপির আবেদন গ্রহণ,মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে নতুন পাসপোর্টের আবেদনকারীর ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ,স্প্যানিশ পাসপোর্টধারী বাংলাদেশী নাগরিকদের নো-ভিসা আবেদন গ্রহণ,ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য পূরণের আবেদন এছাড়াও প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজপত্র সত্যায়ন এবং প্রবাসীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর আবেদন গ্রহণ ইত্যাদি।