­
­
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া বিমানবন্দর থেকে কারাগারে: ইন্টেরিমের প্রতি শিল্পীদের ক্ষোভ ও তিরস্কার  » «   বিশ্বরেকর্ড গড়ে এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশি শাকিল  » «   বিশ্বের কাছে বার্তা দিতে পাল্টাপাল্টি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান  » «   ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোলে আটকা শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, বাংলাদেশ জানেই না স্থগিত সিদ্ধান্তের কথা!  » «   স্থলপথে পণ্য নেবে না ভারত : কেনো এত উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদ ও রপ্তানিকারকরা  » «   চট্টগ্রামের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়া নিয়ে বিতর্ক: কী জানা যাচ্ছে  » «   পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা  » «   সিলেটে ডা. জোবাইদার ‘বেনামি’ পোস্টার ঘিরে আলোচনার ঝড়  » «   মাত্র ১৪ কর্মদিবসে মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ-হত্যার বিচার, ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড  » «   হামাস নির্মূলে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্রতর, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্পের  » «   সৌদির সমাজে বড় পরিবর্তন, কীভাবে সম্ভব হলো?  » «   আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এখন আমরা কী নির্মাণ করছি?  » «   ডলার খোলাবাজারে : দাম অস্বাভাবিক বাড়লে কী হবে?  » «   নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ কেন?  » «   আওয়ামী লীগ নিয়ে খবর প্রকাশ বা সোশাল মিডিয়ায় লেখাও কি নিষেধ?  » «  

সেদিন কেয়ামত থেকে ফিরে এসেছিলাম : সুলতান মনসুর



বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেছেন, সেই বিভৎস দৃশ্য আর পাষণ্ডদের হিংস্র তাণ্ডব আজও যেন চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে ভাসে। মৃত্যু আর রক্তস্রোতের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও তাড়া করে। আমরা যেন জীবিত থেকেও মৃত। মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর সেই সময়কার মুখগুলো এখনো আমাকে তাড়া করে।

হয়তো আমৃত্যু তাড়া করেই যাবে। কারণ চোখের সামনেই সেদিন আমি কেয়ামত দেখেছিলাম। প্রিয় মানুষদের এভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার দৃশ্য দেখে নিজের আহত হওয়ার কথাও ভুলে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আকস্মিক জ্ঞান ফিরলে জানলাম আমি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসকরা আমাকে জানালেন, নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের কয়েকজন অজ্ঞান অবস্থায় আমাকে ধরে নিয়ে এসেছেন।
দিনটি ছিল শনিবার। বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সমাবেশ। সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল হওয়ার কথা। তাই মঞ্চ নির্মাণ না করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ট্রাককে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

সমাবেশে অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শেষান্ত। তখন আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টা। হঠাৎ করেই শুরু হয়ে গেল নারকীয় গ্রেনেড হামলা। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে লাগল একের পর এক গ্রেনেড। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ মুহূর্তেই পরিণত হলো মৃত্যুপুরীতে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহুর্মুহু গ্রেনেড হামলার বীভৎসতায় মুহূর্তেই রক্ত-মাংসের স্তুপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। দলের অনেক নেতাকর্মী এদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও এখনো দেহে অসংখ্য ঘাতক স্পিন্টারের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে পথ চলছেন তারা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন