ক.
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আর বাঙালিদের জন্যে একটা অনস্বীকার্য নাম। বাংলাদেশ আর আর বঙ্গবন্ধু একসূত্রেই গাথা । বাংলাদেশের নামের সাথে উচ্চারিত যেমন হাজারো লাখো কোটি মানুষের আত্নত্যাগ আর বিসর্জনের নাম, ঠিক সেভাবেই যেন রক্তের অক্ষরে লিখিত আরেকটা নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর নামটা আমরা লিখতে পারতাম একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে, তার নাম উচ্চারন করতে পারতাম একজন দেশপ্রেমিক নেতার নাম হিসেবে, তার নাম উল্লেখ করতে পারতাম মাঠে-ময়দানে-জেলায়-থানায়-গ্রামে-গঞ্জে চষে বেড়ানো একজন মাঠকর্মী হিসেবে। বঙ্গবন্ধুকে উচ্চারন করতে পারতাম এমন অসংখ্য অভিধায়, বাংলা আর বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রায় যা শুধু হয়ত তাঁর বেলায়ই চলে। কিন্তু আমি কেন জানি তার নামটি উচ্চারন হয় শুধু রক্তলেখায়,হৃদয়ে রক্তক্ষরনের মধ্যি দিয়ে।
পৃথিবীর অনেক দেশই আছে, যেখানে নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে সাম্রাজ্যবাদীদের মদতপুষ্ট হয়ে নেতাকে হত্যা করা বঙ্গবন্ধুই কোন একক উদাহরন নন। যুগে যুগেই মিরজাফরদের সৃষ্ঠি হয়েছে। এরাই রাষ্ট্র আর সমাজের নেতাদের বিভিন্নভাবে হতাহত করেছে, এখনও করছে। প্রকৃত নেতারা মাথায় খড়গের আশংকা করেন, কানে গুলির শব্দ পান, বুক টান করে হাটেন রাইফের আর পিস্তল উঁচু করা দেখেও। জেল-জুলুম তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। পিতা-মাতা-স্ত্রী-সন্তানদের সাথে তাঁদের দিনের পর দিনমিাস-বছর দেখা হয় না। এতো দেশ আর জনগণের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করারই প্রয়োজনে। সেজন্যেই এরা জীবনের বিনিময়ে মানুষেরই গান গেয়ে বেড়ান। আর সে হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিস্ময়করভাবে এসব কিছুরই এক অদ্ভুদ সংমিশ্রন।
খ.
আমরা যদি বর্তমান কিংবা পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তাহলে কি দেখি। রাজনীতিকে যেন গ্রাস করেছে এক অদৃশ্য অজগর। যুগের পর যুগ জনতার সাথে মিশে যে বঙ্গবন্ধু বাংলার জনতাকে নিয়ে একটা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখলেন কিংবা এই স্বপ্নকে বাস্তবতায় রুপ দিতে গিয়ে নিজের জীবনের শত-সহস্র দিন-রজনী কাটালেন জেলের অভ্যন্তর প্রকোষ্টে। বাঙালির জীবনে ফল্গুধারার মতো বয়ে যাওয়া স্বাধীনতার স্বপ্ন-সাধকে যিনি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। শাষক আর শোষকের রক্তচক্ষু কিংবা কালো হাতকে জনগণের শক্তি দিয়েই মোকাবেলা করেছেন জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত, সেই মানুষটিাক প্রাণ দিতে হলো তারই দেশের কতিপয় উশৃংখল সেনাদের হাতে। এবং আরও প্রকট সত্য যে, যে মানুষগুলোকে তিনিই ক্ষমতার সারিতে নিয়ে এসেছিলেন তারই পার্টির কিছু ক্ষমতালিপ্সু বিশ্বাসঘাতকরা তাঁকে হত্যা করলো এক নিকষ কালো রাতে। সেই বিশ্বাসঘাতকেরা হত্যা করলো সেদিন তাঁর গোটা পরিবারকে। হয়ত আরেক বাংলাদেশ গড়ার প্রয়োজনেই প্রসন্ন ভাগ্যের কারনে শুধুমাত্র বেঁচেছিলেন তখন শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা। পাহাড় সমান বেদনা নিয়ে এখনও তারা সাগরের নীল জলের সমান হতাশা নিয়েই পাড়ি দিচ্ছেন তাদের জীবন, শেখ হাসিনা যুদ্ধ করছেন অসংখ্য অপশক্তির বিরুদ্ধে। রাজনীতির নষ্ঠ ধারায় আমাদের আৎকে উঠতে হয়, এখনও কি কোন মিরজাফর ওঁৎ পেতে আছে, বুনে যাচ্ছে পচাত্তুরের প্লট? আগেই উল্লেখ করেছি যুগে যুগে মিরজাফরদের কথা, কিন্তু সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই প্রথম কোন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, যার মাধ্যমে বিশ্বাসঘাতক বেঈমানরা একটা পরিবারের সবাইকে নিশ্চিহ্ন করতে পেরেছে। সেকারনেই ১৫ আগষ্ট যেন এমন একটা রাত, যে রাতে গোটা বাংলাপদেশটাই স্থব্ধ হয়েছিলো। এই স্থব্ধতার মধ্যি দিয়ে, হত্যাযজ্ঞের মধ্যি দিয়েই ষড়যন্ত্রকারী বেঈমানরা চাইছিলো গোটা দেশটাকাই নিশ্চিহ্ন করে দিতে।
অথচ এই মানুষটি যিনি রাজনীতিকে বিভেদশূন্য করতে চেয়েছিলেন, এই মানুষটি রাজনীতিকে মুক্ত আলোচনার একটা প্লাটফর্ম হিসেবে দেখে বিবেচনা করতেন দেশসেবার একটা জায়গা হিসেবে। স্বাধীনতার অব্যবহতি পরে বাংলাদেশের তৎকালিন বৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলনে প্রধান অথিতি হয়ে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু এবং কোনপ্রকার রাখ-ঢাক ছাড়াই ছাত্র ইউনিয়েনের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রশংসা করেছিলেন সেই মঞ্চে। এমনকি তখনকার সময়ে ডাকসু কিংবা ইউকসু সহ দেশের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ইউনিয়নের বিজয়কে তিনি দেখিছিলেন ইতিবাচক দৃষ্ঠিভঙ্গি দিয়ে। ছাত্র ইউনিয়নের এই বিজয় তিনি আগেভাগেই বুঝে নিয়েছিলেন। আর তাইতো তখন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি আজকের বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী আর সম্ভাব্য ডাকুসু’র ভিপি আজকের বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিকে নির্বাচনের দুইদিন আগে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘তোরা এবার ডাকসু নির্বাচনে জয়লাভ করবি। তোরা আমার সঙ্গেই আছিস, কাজেই আমার দুশ্চিন্তা নেই।’ সদ্য স্বাধীন দেশ ,তাঁর নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। অথচ তাঁর কোন কোন দুশ্চিন্তা নেই। তার ছাত্র সংগঠনের পরাজয়কে তিনি বাংলাদেশের আপামর ছাত্রদের সুচিন্তিত সমর্থন কিংবা রায়কে গনতন্ত্রের বিজয় হিসেবেই মেনে নিয়েছেন। একজন উদার দেশপ্রেমিক জননেতা ছাড়া এরকম একালে কি কল্পনা করা যায় ? ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম প্রকাশ্য সম্মেলনেও প্রধান অথিতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনীতির মানুষের সাথে কিভাবে সৌহার্দ রাখা যায়, কিভাবে একটা সদ্য স্বাধীন দেশে রাজনৈতিক ভেদ-বিভেদ ভুলে গিয়ে দেশ গঠনে সবাই সম্মিলিত ভুমিকা রাখতে পারে,তা একজন জননেতা ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ঠিকই উপলব্দি করতেন বঙ্গবন্ধু।
গ.
১৯৫১ সালে পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে রাওয়ালপিন্ডির এক জনসভায় গুলি করে হত্যা করা হয়। লিয়াকত আলী খান পাকিস্থানে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। এবং এই ষড়যন্ত্রেরই শেষ পরিণতি হলো তিনি নিহত হলেন। কিন্তু কেউ জানলো না, কিভাবে তিনি মারা গেলেন, কিভাবেই প্রকাশ্য সভায় পিস্তল উচিয়ে তাকে হত্যা করা হলো। তখন বঙ্গবন্ধুও কারাগারে, মাওলানা ভাসানীও জেলে। এবং লিয়াকত আলী খানের নির্দেশেই তারা তখন কারাগারের অভ্যন্তরে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এই হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারেন নি। তার
‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’তে তিনি লিখেছেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে দুঃখ পেয়েছিলাম’। কারন তিনি বিশ্বাস করতেন ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে আর যাই হোক গনতন্ত্র আসে না। গনতন্ত্রহীন একটা দেশ মানে অস্থিতিশীল একটা জাতি। পাকিস্থান সেই অস্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতাই চলছে এখনও প্রতিদিন। বোমা পড়ছে, নিহত হচ্ছে মানুষ প্রতিদিন, পাকিস্থানে।
ঘ.
বঙ্গবন্ধু ১৯৫১ সালের শেষের দিকে ঢাকা জেলে এসে দেখা হয় তারই একসময়ের সতীর্থ (মুসলিম লীগের কর্মী)মহিউদ্দিনের সাথে । মহিউদ্দিন সাহেবকে তিনি এবং তার সহকর্মীরা ভালো চোখে দেখতেন না। পাকিস্থানের পক্ষের শক্তি হয়ে ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কারনে পাকিস্থান সরকারই তাকে বন্দী করলো। জেলে মহিউদ্দিন সাহেবের সাথে তাঁর দেখা হয়, আলাপ হলে দেখলেন তিনি মহিউদ্দিন সাহেবের নীতিগত পরিবর্তন আসছে। তখন তাঁর সাথে তিনি আন্তরিক হলেন। আন্দোলনের একজন সক্রীয় নেতা তিনি বানিয়ে নিলেন আবারও তাঁকে। জেলে থেকেই তিনি মহিউদ্দিনের মুক্তির ব্যাপারে আন্দোলন করার জন্যে তার সহকর্মীদের অনুরোধ করেন। মহিউদ্দিকে কেউই তখন ভালো চোখে দেখতো না। বঙ্গবন্ধু সবাইকে তখন বলে-কয়ে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবীর সাথে মহিউদ্দিনের মুক্তির দাবীটিও সরকারের নজরে নিয়ে আসেন। এভাবেই একজন বিরুদ্ধ ধারার কর্মীকেও বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজের ক্যারিসমেটিক নেতৃত্বে আপন করে নিতে পারতেন। আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতায় নেতারা গডফাদারের মতো। তাইতো কর্মীরা এখন ‘ভাই’ সম্বোধনে যেন ভয় পায়। ‘লীডার’ কিংবা ‘বস’ এখন যেন নেতাদের অপরিহার্য সম্বোধন। কয়েক বছর আগে আমি বাড়ীতে গেছি। দেখি যুবলীগ করা আমার এক বন্ধু একজন জনপ্রতিনিধিকে লীডার হিসেবে ফোনে সম্বোধন করছে। আমি বিস্ময়ে তাকে বললাম, এর আগেতো আমরা সবাই তার নামের পরে ভাই বলতাম। বন্ধুটি বলে, সময় বদলেছে। এ বন্ধুটি এলাকার নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী পরিবারের একজন। পার্টি কিংবা এলাকায় জনপ্রীয় এই পরিবার কোনদিন কোন সুযোগ-সুবিধা নেয়নি। আজও তারা এতে নেই। অথচ সে-ও বলল সময় বদলেছে। কিন্তু কি এক অদ্ভুদ সম্মোহনী শক্তি ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের । তার সময়ের দুএক নেতার মুখে শোনেছি, তারা অকাতরেই বঙ্গবন্ধুকে ‘মুজিব ভাই’ বলতেন। নিজ কর্মীদেরতো বটেই সাংবাদিকদের কিংবা এমনকি বিরুদ্ধবাদীদের এই ‘মুজিব ভাই’ ই তার পাহাড়-সমান জনপ্রীয়তায় হয়ে উঠেছিলেন বাঙালি জাতির পিতা।
ঙ.
অসমাপ্ত আত্নজীবনী পড়তে পড়তে এক জায়গায় এসে যেন পাঠক বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। পল্টনের লাখো জনতার সেই বঙ্গবন্ধু, সাড়ে সাত কোটি মানুষের সেই বঙ্গবন্ধু যেন স্থব্ধ করে দেন তাঁর আবেগ দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধু আত্নজীবনীতে বলছেন “একসময় হাচিনাকে বলছে ‘হাচু আপা,হাচু আপা, তোমার আব্বাকে একটু আব্বা বলি।’ আমি আর রেণু দুজনেই শুনলাম। আস্তে আস্তে বিছানা থেকে উঠে যেয়ে ওকে কোলে নিয়ে বললাম,‘ আমিতো তোমারও আব্বা।’ কামাল আমার কাছে আসতে চাইত না। আজ গলা ধরে পড়ে রইলো। বুঝতে পারলাম, এখন আরও সহ্য করতে পারছে না। নিজের ছেলেও অনেক দিন না দেখলে ভুলে যায়। আমি যখন জেলে যাই, তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস। রাজনৈতিক কারনে বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা আর তার আত্নীয়স্বজন ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে দূরে রাখা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা কে বুঝাবে ? মানুষ স্বার্থের জন্যে অন্ধ হয়ে যায়।’ নিজের পরিবার থেকে এভাবেই বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন যেন বিচ্ছিন্ন। ছেলের কাছে আব্বা ছিলেন হাচু আপার আব্বা। পৃথিবীর কয়েকটি মায়াবী শব্দের মাঝে একটা শব্দ আব্বা। অথচ এই শব্দটিও কামালের কাছে ছিলো যেন অধরা। অধরা হয়ে একজন বঙ্গবন্ধু হয়ত কামালের কাছ থেকে সরে গিয়েছিলেন, কিন্তু এই সরে যাওয়ার মধ্যি দিয়েই হয়ে উঠেছিলেন তিনি দেশ আর জাতির পিতা।
চ.
বঙ্গবন্ধু কি কোন স্বপ্ন দেখতেন ? আমার মনে হয় তিনি স্বপ্ন দেখতেন না। তিনি স্বাপ্নিক ছিলেন না। তিনি স্বপ্ন দেখাতেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল। তিনি লক্ষ্যের পৌছার জন্যে তিনি ছিলেন দৃঢ়। একটা জাতিকে তিনি লক্ষ্যে পৌছানোর কাজ হাতে নিয়েছিলেন। এটা কোন স্বপ্ন নয়। এটা ছিলো বাঙালি জাতির অধিকার। অধিকার স্বপ্ন হতে পারে না। অধিকারের জন্যে লড়াই করতে হয়। যে লড়াইয়ে তিনি নেমেছিলেন জনগনকে সাথে নিয়ে । তাইতো তার যাদুকরী ডাকে মানুষ সম্মোহিত হয়েছে। ঝাঁপিয়ে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ, যুদ্ধ করেছে। লাখ লাখ মানুষ বিসর্জন দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা ছিলো না। তিনি বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, এটা ছিলো বাস্তবতা। দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছিলেন। তিনি সার্থক। ব্যর্থ শুধু কাপুরুষরাই। কারন তারা তাকে হত্যা করেছে। মাঝপথে অসমাপ্ত রেখেছে তার দেশ গড়ার কাজ।
আর সেজন্যেই বক্তৃতায় যারা আজ বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, তারা ভুল করেন। বঙ্গবন্ধুর যেমন অসমাপ্ত আত্নজীবনী, ঠিক তেমনি তাঁর অসমাপ্ত কর্মযজ্ঞ সমাধানের পথ খোঁজতে হবে। স্বপ্ন দিয়ে তাকে ঢাকলে চলবে না। যুক্তি-দেশপ্রেম-প্রত্যয় নিয়েই মোকাবেলা করতে হবে আজকের বাংলাদেশের প্রতিকুলতাকে। পঁচাত্তরের প্লট সৃষ্ঠি করেছিলো যারা, পঁচাত্তরের রক্তাক্ত অধ্যায় রচনা করেছিলো যারা, তাদের প্রেতাত্নারা ঘোরে এখনও দেশে, হয়ত নিজ দলেও। মুজিব কোট পরে এখনও কি ঘুর ঘুর করছে না কোন মোশতাক, তার কি কোন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে ?
ফারুক যোশী: কলামিস্ট, প্রধান সম্পাদক; ৫২বাংলা টিভি ডটকম ।