ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত, চিকিৎসা চলছে লন্ডনে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / 158

ইলিয়াস কাঞ্চন

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে ভুগছেন। তিনি সাত মাস ধরে অসুস্থ এবং গত ছয় মাস ধরে লন্ডনে চিকিৎসাধীন। বুধবার (১ অক্টোবর) নিসচার এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ছেলে মিরাজুল মইন কানাডা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান।

মিরাজুল মইন বলেন, “বাবা (ইলিয়াস কাঞ্চন) গত ২৬ এপ্রিল থেকে লন্ডনে আছেন। তাঁর এই অবস্থান কেবল চিকিৎসাজনিত কারণে। এ বছরের শুরুতে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন তিনি। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে গত ৯ এপ্রিল ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এমআরআই রিপোর্টে তাঁর মাথায় টিউমার ধরা পড়ে।”

তিনি আরও জানান, “আগেই বাবা কথা বলতে গিয়ে থমকে যেতেন এবং অনেক কিছু মনে রাখতে সমস্যা হচ্ছিল। পরে রিপোর্টে দেখা যায়, টিউমারের কারণেই এ সমস্যা। এরপর ১৩ এপ্রিল তাঁকে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে নেওয়া হয়। ডাক্তাররা একটি বিশেষজ্ঞ বোর্ড গঠন করে জানান, টিউমারটি ব্রেনের গভীরে গুরুত্বপূর্ণ নার্ভের সংযোগস্থলে থাকায় অস্ত্রোপচার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হবে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হয় এবং ২৬ এপ্রিল তিনি সেখানকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।”

লন্ডনে চিকিৎসার অগ্রগতির কথা জানিয়ে মইন বলেন, “লন্ডনে পৌঁছানোর পরের দিন থেকেই তাঁকে হারলি স্ট্রিট ক্লিনিকে নিউরোসার্জনের অধীনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। টানা তিন মাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ৫ আগস্ট উইলিংটন হাসপাতালে প্রফেসর ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। ডাক্তাররা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন পুরো টিউমার অপসারণ সম্ভব নয়। এতে প্রাণহানি বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে চলাফেরা ও কথা বলার ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। তাই ডাক্তারদের পরামর্শে আংশিক টিউমার অপসারণ করা হয়। বাকি অংশ রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। মোট ৩০ দিন রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি দেওয়া হবে, যা সপ্তাহে পাঁচ দিন করে ছয় সপ্তাহ চলবে। এই মাসেই চিকিৎসার নতুন ধাপ শুরু হবে এবং তা শেষ হওয়ার পর তিনি আরও চার সপ্তাহ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। পরবর্তীতে ডাক্তারদের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছি।”

নিসচার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিরাজুল মইন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমার বাবা, নিসচা প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত, চিকিৎসা চলছে লন্ডনে

আপডেট সময় : ১১:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে ভুগছেন। তিনি সাত মাস ধরে অসুস্থ এবং গত ছয় মাস ধরে লন্ডনে চিকিৎসাধীন। বুধবার (১ অক্টোবর) নিসচার এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ছেলে মিরাজুল মইন কানাডা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান।

মিরাজুল মইন বলেন, “বাবা (ইলিয়াস কাঞ্চন) গত ২৬ এপ্রিল থেকে লন্ডনে আছেন। তাঁর এই অবস্থান কেবল চিকিৎসাজনিত কারণে। এ বছরের শুরুতে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন তিনি। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে গত ৯ এপ্রিল ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এমআরআই রিপোর্টে তাঁর মাথায় টিউমার ধরা পড়ে।”

তিনি আরও জানান, “আগেই বাবা কথা বলতে গিয়ে থমকে যেতেন এবং অনেক কিছু মনে রাখতে সমস্যা হচ্ছিল। পরে রিপোর্টে দেখা যায়, টিউমারের কারণেই এ সমস্যা। এরপর ১৩ এপ্রিল তাঁকে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে নেওয়া হয়। ডাক্তাররা একটি বিশেষজ্ঞ বোর্ড গঠন করে জানান, টিউমারটি ব্রেনের গভীরে গুরুত্বপূর্ণ নার্ভের সংযোগস্থলে থাকায় অস্ত্রোপচার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হবে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হয় এবং ২৬ এপ্রিল তিনি সেখানকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।”

লন্ডনে চিকিৎসার অগ্রগতির কথা জানিয়ে মইন বলেন, “লন্ডনে পৌঁছানোর পরের দিন থেকেই তাঁকে হারলি স্ট্রিট ক্লিনিকে নিউরোসার্জনের অধীনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। টানা তিন মাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ৫ আগস্ট উইলিংটন হাসপাতালে প্রফেসর ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। ডাক্তাররা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন পুরো টিউমার অপসারণ সম্ভব নয়। এতে প্রাণহানি বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে চলাফেরা ও কথা বলার ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। তাই ডাক্তারদের পরামর্শে আংশিক টিউমার অপসারণ করা হয়। বাকি অংশ রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। মোট ৩০ দিন রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি দেওয়া হবে, যা সপ্তাহে পাঁচ দিন করে ছয় সপ্তাহ চলবে। এই মাসেই চিকিৎসার নতুন ধাপ শুরু হবে এবং তা শেষ হওয়ার পর তিনি আরও চার সপ্তাহ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। পরবর্তীতে ডাক্তারদের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছি।”

নিসচার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিরাজুল মইন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমার বাবা, নিসচা প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।”