ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

নেত্রকোণার সীমান্তে ফলদ বাংলাদেশ  ফাউন্ডেশনের হাজারো কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 619
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুজিববর্ষ উপলক্ষে নেত্রকোণার কলমাকান্দায়  রংছাতি ইউনিয়নের বরুয়াকোণা এলাকায় সীমান্তে অবস্থিত পাতলাবন স্থানটি। এ স্থানে হাজারেরও বেশি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’।

আজ শুক্রবার দিনব্যাপী এ সংগঠনটির সদস্য-সদস্যাবৃন্দ কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন।

কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনের এ কৃষ্ণচূড়া উদ্যানের বৃক্ষ রোপনের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি দ্রাবিড় সৈকত, জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. তারিকুল ইসলাম মাসুম হাওলাদার, ফারজানা হিমু, কলমাকান্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম,বরুয়াকোনা বিওপির নায়েব সুবেদার মোঃ রেফায়েত উল্লাহসহ জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দ্রাবিড় সৈকত এ সময় জানান, প্রকৃতিকে রক্ষা করতে আমাদের একটা দায়িত্ব। কৃষ্ণচূড়া বাগানে যাতে পাখি, পতঙ্গ ও অন্যান্য বিষয় সঠিকভাবে থাকতে পারে, বাস্তু সংস্থান সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। সে কারণে মাঝখানে কয়েকটি বটগাছ লাগাবো। বটগাছে প্রচুর পাখির খাবার থাকে। বাউন্ডারির কাছে বেশ কিছু ফলের গাছ লাগিয়ে দিবো যাতে মানুষ জনেরও উপকার হয় এবং অর্থনৈতিকভাবে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারি। সর্বোপরি এ কাজটি উপজেলা প্রশাসনের ও স্থানীয় জনসাধারণের। গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষন ও দেখাশুনার দায়িত্ব তাদেরই।

কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা জানান, দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হচ্ছে পাতলাবন। দেশের অনেকে জানে, আবার অনেকে জানে না পর্যটন সমৃদ্ধ এ স্থানটি। এ বনের বিস্তৃর্ণ মাঠের সাথে মেঘালয়ের পাহাড় ও মাহদেও নদী রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে একটা নান্দনিক পরিবেশ বিরাজমান। এই নান্দনিক রূপটাকে তুলে ধরার জন্য এখানে কৃষ্ণচূড়া গাছের বাগানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পেছনে সার্বিক সহযোগিতা করছে ‘ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনে’র নামের সংগঠনটি। এ স্থানটি ভবিয্যতের জন্য এমনভাবে সাজাতে চায় যেখানে কৃষ্ণচূড়া গাছে সমারোহ থাকবে। এ দৃশ্য সারা দেশের মানুষ এবং যারা প্রকৃতি ও ভ্রমণ প্রেমি পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে এবং তারাও নির্মল বিনোদনের আনন্দ পাবে। এ উদ্যোগে সংগঠনটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলাকাবাসীর প্রতি তিনি আহবান জানান নিয়মিত রোপনকৃত গাছগুলোর প্রতি যত্নবান হবার। গাছগুলো যেন গবাদি দ্বারা কিংবা অন্য কোনভাবে ক্ষতিসাধিত না হয় সে বিষয়টির প্রতি আহবান জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নেত্রকোণার সীমান্তে ফলদ বাংলাদেশ  ফাউন্ডেশনের হাজারো কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপন

আপডেট সময় : ০৪:২৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

মুজিববর্ষ উপলক্ষে নেত্রকোণার কলমাকান্দায়  রংছাতি ইউনিয়নের বরুয়াকোণা এলাকায় সীমান্তে অবস্থিত পাতলাবন স্থানটি। এ স্থানে হাজারেরও বেশি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’।

আজ শুক্রবার দিনব্যাপী এ সংগঠনটির সদস্য-সদস্যাবৃন্দ কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন।

কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনের এ কৃষ্ণচূড়া উদ্যানের বৃক্ষ রোপনের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি দ্রাবিড় সৈকত, জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. তারিকুল ইসলাম মাসুম হাওলাদার, ফারজানা হিমু, কলমাকান্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম,বরুয়াকোনা বিওপির নায়েব সুবেদার মোঃ রেফায়েত উল্লাহসহ জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দ্রাবিড় সৈকত এ সময় জানান, প্রকৃতিকে রক্ষা করতে আমাদের একটা দায়িত্ব। কৃষ্ণচূড়া বাগানে যাতে পাখি, পতঙ্গ ও অন্যান্য বিষয় সঠিকভাবে থাকতে পারে, বাস্তু সংস্থান সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। সে কারণে মাঝখানে কয়েকটি বটগাছ লাগাবো। বটগাছে প্রচুর পাখির খাবার থাকে। বাউন্ডারির কাছে বেশ কিছু ফলের গাছ লাগিয়ে দিবো যাতে মানুষ জনেরও উপকার হয় এবং অর্থনৈতিকভাবে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারি। সর্বোপরি এ কাজটি উপজেলা প্রশাসনের ও স্থানীয় জনসাধারণের। গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষন ও দেখাশুনার দায়িত্ব তাদেরই।

কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা জানান, দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হচ্ছে পাতলাবন। দেশের অনেকে জানে, আবার অনেকে জানে না পর্যটন সমৃদ্ধ এ স্থানটি। এ বনের বিস্তৃর্ণ মাঠের সাথে মেঘালয়ের পাহাড় ও মাহদেও নদী রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে একটা নান্দনিক পরিবেশ বিরাজমান। এই নান্দনিক রূপটাকে তুলে ধরার জন্য এখানে কৃষ্ণচূড়া গাছের বাগানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পেছনে সার্বিক সহযোগিতা করছে ‘ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনে’র নামের সংগঠনটি। এ স্থানটি ভবিয্যতের জন্য এমনভাবে সাজাতে চায় যেখানে কৃষ্ণচূড়া গাছে সমারোহ থাকবে। এ দৃশ্য সারা দেশের মানুষ এবং যারা প্রকৃতি ও ভ্রমণ প্রেমি পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে এবং তারাও নির্মল বিনোদনের আনন্দ পাবে। এ উদ্যোগে সংগঠনটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলাকাবাসীর প্রতি তিনি আহবান জানান নিয়মিত রোপনকৃত গাছগুলোর প্রতি যত্নবান হবার। গাছগুলো যেন গবাদি দ্বারা কিংবা অন্য কোনভাবে ক্ষতিসাধিত না হয় সে বিষয়টির প্রতি আহবান জানান তিনি।