­
­
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সৌদির সমাজে বড় পরিবর্তন, কীভাবে সম্ভব হলো?  » «   আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এখন আমরা কী নির্মাণ করছি?  » «   ডলার খোলাবাজারে : দাম অস্বাভাবিক বাড়লে কী হবে?  » «   নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ কেন?  » «   আওয়ামী লীগ নিয়ে খবর প্রকাশ বা সোশাল মিডিয়ায় লেখাও কি নিষেধ?  » «   জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর  » «   ভুয়া ‘জুলাই যোদ্ধা’র হাতে সরকারি অনুদানের চেক  » «   কে জিতল—ভারত, না পাকিস্তান?  » «   আওয়ামী লীগের ‘কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা’র মানে কী?  » «   বাংলাদেশে মার্কিন পণ্যের আমদানি বাড়বে, কমবে শুল্ক  » «   আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞার ফল কী? জামায়াতের বিচার নিয়ে প্রশ্ন  » «   পা দিয়ে লিখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় মানিক  » «   এখন লড়াই ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে: ফরহাদ মজহার  » «   ইতালিতে ‘জিহাদি উসকানি’র অভিযোগে দুই বাংলাদেশি যুবক আটক  » «   ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামলো কীভাবে, টিকবে কতদিন  » «  

১৫বছর পর আবার যাত্রা শুরু পাবলিক লাইব্রেরির



পুরাতন কে নতুন করে সাজানোর জন্য সবার প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই উদ্যোগে, প্রায় ১৫বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া বাগেরহাটের শরণখোলার পাবলিক লাইব্রেরিটির নতুন করে হাল ধরেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রিয়াদুল ইসলাম সোহেল। এই তরুণ শিক্ষক তার সমমনা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শরণখোলার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ভবনের একটি কক্ষে এই পাবলিক লাইব্রেরির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন।

ফিতা কেটে লাইব্রেরির আনুষ্ঠিানিক উদ্বোধন করেন রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্দে গাজী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রায়েন্দা-রাজৈর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আনোয়ারী, শরণখোলা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সালাম শেখ, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক বদিউজ্জামার বাদল, সৈয়দ আল-আমীন, ওমর ফারুক প্রমূখ।

পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যাক্তা অধ্যাপক রিয়াদুল ইসলাম সোহেল বলেন, আমার জন্মস্থান শরণখোলায় একটি পালবলিক লাইব্রেরি নেই, এটা ভেবে নিজের কাছে খুবই লজ্জাবোধ হয়। সেই উপলব্ধি থেকে বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় স্বচল করা উদ্যোগ নেই।

তরুণ এই শিক্ষক হতাশা প্রকার করে আরো বলেন, শরণখোলার ছাত্র ও যুবসমাজের মধ্যে মোবাইল আশক্তি বেড়ে যাওয়ায় বই পড়ার প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই। সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরিবেশের অভাবে ধীরে ধীরে তারা মেধাশূণ্য হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। তাদেরকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে ফিরিয়ে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এই পাবলিক লাইব্রেরি করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই ক্রীড়া সংস্থার ভবনেই একসময় স্বল্প পরিসরে পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম শুরু হয়। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা এবং আর্থিক দৈন্যতায় তার মুখ থুবড়ে পড়ে। বইয়ের সংগ্রহশালা এবং ফার্নিচার সাবাড় করে ঘুন আর উঁই পোকায়। প্রায় ১৫বছর আগে এর সমাপ্তি ঘটে

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন