­
­
বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের আর কোথায় আছে, কতটা কার্যকর?  » «   বিএনপি না জামায়াত কোন দিকে ঝুঁকছে ইসলামপন্থি দলগুলো?  » «   সুইডেনে অতর্কিত বন্দুক হামলায় নিহত ৩  » «   ইতালিতে বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের  » «   ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানিতে চমক: চীনের ঘাটতি পূরণ করছে বাংলাদেশ  » «   কানাডায় লিবারেলদের জয়, কী কারণ  » «   রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে?  » «   ইউরোপ ৪ দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন!  » «   ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি  » «   বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার  » «   নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ  » «   ৬০ টন পণ্য নিয়ে সিলেট থেকে উড়ল প্রথম কার্গো ফ্লাইট  » «   রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার  » «   শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি  » «   ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার কবি দাউদ হায়দার আর নেই  » «  

ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলা বাতিল



বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর তড়িঘড়ি মামলাটি প্রত্যাহার করার যে পদক্ষেপ দুদক নিয়েছিল, তা সঠিক ছিল না বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ বুধবার (২৩ এপ্রিল) এ রায় দেয়।

রায়ের পর ইউনূসের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমাদের নোটিস না দিয়েই গোপনে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ছিল ষড়যন্ত্রমূলক, যাতে ভবিষ্যতে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা যায়।” তিনি বলেন, “ড. ইউনূস আমাদেরকে বলেছিলেন, ‘আমি সরকারে আছি। এভাবে মামলা প্রত্যাহারের পক্ষপাতি নই। সরকারের কাছে কোনো অনুগ্রহ চাই না। আইনি প্রক্রিয়ায় মামলাটির নিষ্পত্তি চাই’।

শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং ওই অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। মামলার বাকি আসামিরাও ছিলেন গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন ২০২৪ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

অভিযোগ গঠনের ওই আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটির কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ৮ জুলাই হাই কোর্টে আবেদন করেন ইউনূস। তবে আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৪ জুলাই হাই কোর্ট আবেদনটি খারিজ করে দেয়। হাই কোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে এরপর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন মুহাম্মদ ইউনূস। তবে এর মধ্যেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং সেই ইউনূসই ৮ অগাস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেন।

এদিকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দুদকের পক্ষে মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করা হয়। গত ১১ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক। অন্যদিকে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগ আদেশ দেয়। সে অনুযায়ী আপিল শুনানি শেষে বুধবার রায়ের দিন ধার্য করা হয়।

বুধবার রায়ের পর ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আপিল বিভাগ রায়ে বলেছে, এই মামলাটি ছিল মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ কারণে আপিল মঞ্জুর করে দুদকের মামলাটি বাতিল করে দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে মামলা চলবে মর্মে হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটাও বাতিল করেছে আপিল বিভাগ।“

আইনজীবী বলেন, “এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে ড. ইউনূসের সম্মানহানি করার চেষ্টা করেছে, এই রায়ের মধ্য দিয়ে তার অবসান হল।”

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন