“বিশ্ব প্রাণে বাংলার সুর” এই মন্ত্র কে ধারণ করে বিশ্ব সঙ্গীত কেন্দ্রের দশ বছর পূর্তিতে ভার্চুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ মার্চ। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করেই রাজধানী রোমের স্থানীয় একটি হল রুমে আয়োজন করা হয় প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি মত বিনিময় সভার।
বিশ্ব সঙ্গীত কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গীত শিল্পী জাকারিয়া কাজী বলেন” বিশ্ব সঙ্গীত কেন্দ্রের দশ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণটি অত্যন্ত বর্ণাঢ্যভাবে একটি মহা সম্মেলনের রূপ দেয়ার ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকলেও করোনার পরিস্থিতি বিবেচনায় তা সম্ভব হলোনা, তবে এই আয়োজন আগামীতে বড়ো পরিসরে বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে একটি মহা সম্মেলনের আগ্রহ আছে।”
দশ বছরের পদার্পণে এই সংগঠনটি এবার নয় জন বিশিষ্ট ও খ্যাতিমান শিল্পীদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করবে। তাঁরা হলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ( বাংলাদেশ), স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দ সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হাসান, লোক সঙ্গীত শিল্পী গীতা চৌধুরী ( ভারত), সঙ্গীত শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, শব্দ সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একুশের পদক প্রাপ্ত নজরুল সঙ্গীত শিল্পী শাহীন সামাদ, সঙ্গীত শিল্পী তিমির নন্দী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভারতের লোক সঙ্গীত শিল্পী ভাস্কর রায় ও সঙ্গীত শিল্পী সৈকত মিত্র, এবং ইতালির যন্ত্র শিল্পী ইগর ওরিফিচি। সভায় যুগ্ম আহ্বায়ক অনুপ কুমার সরকার বলেন” বাংলা ভাষাভাষী এই সমস্ত গুণী শিল্পীদের নিয়ে বিশ্ব সঙ্গীত কেন্দ্রের এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ই হলো প্রিয় বাংলা ভাষায় ও সুরে বাংলা গানের চর্চা”।
মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সামাজিক ব্যক্তিত্ব লায়লা শাহ। তিনি বলেন” বিশ্ব সঙ্গীত কেন্দ্রের প্রতিটি আয়োজন ই ছিল একেবারে ই অকৃত্রিম এবং প্রাণের গান গুলো নিয়ে, যে গান গুলো আমাদের আত্মাকে বাঁচিয়ে রেখেছে যুগ যুগান্তর থেকে।” ২৭ মার্চের এই ভার্চুয়াল সম্মেলনে যারা শ্রোতা হিসাবে অংশগ্রহণ করতে চান তারা জুম লিঙ্কে প্রবেশ করে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারবেন। স্যোসাল মিডিয়ায় এই জুম লিঙ্ক দেয়া হবে বলে জানান বিশ্ব সঙ্গীত কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক জাকারিয়া কাজী।