বানিয়াচংয়ে (হবিগঞ্জ) বড় বোনকে হত্যার তিন বছর পর ছোট বোনকে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা । থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় ওই ছাত্রী বাড়ীর পাকা বসত ঘরে তার নিজস্ব শয়ন কক্ষে একা একা রাতে শুয়েছিলেন।
১০ মার্চ বুধবার ভোরে এক প্রতিবেশী ওই ছাত্রীর ঘরের দরজা খোলা দেখে কাছে গিয়ে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় ঐ ছাত্রীকে দেখতে পেয়ে ছাত্রীর পরিবার ও লোকজনকে জড়ো করেন।
পরবর্তীতে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
আহত ছাত্রী মারজিয়া (১৮) উপজেলার ১২ নম্বর সুজাতপুর ইউপি‘র ইকরাম গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার কন্যা। সে স্থানীয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী।
বানিয়াচং থানা ইনচার্য মোঃ এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহত ছাত্রীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। থানা পুলিশ অতিশীঘ্রই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারবে বলে আশা করছি।
এ রহস্যজনক ঘটনায় আলামত জব্দ করেছে থানা পুলিশ। আহত ছাত্রীর শয়ন কক্ষ থেকে পাশ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের মানিব্যাগ,মোবাইল ফোন ও আইডি কার্ড উদ্ধার করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। সন্দেহজনক ওই যুবককে খুজছে পুলিশ।