কানাডার অন্টারিওতে নভেল করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড জানিয়েছেন লং টার্ম কেয়ার বা হোম এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথম ভ্যাকসিন পাবেন।
অন্টারিও প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড বলেছেন, প্রভিন্স খুবই স্বল্প পরিমাণে ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে। ফলে সীমিত আকারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করতে হচ্ছে। তবে কি পরিমাণ ভ্যাকসিন অন্টারিও পাচ্ছে তা তিনি উল্লেখ করেননি। টরন্টো এবং অটোয়ার হাসপাতালে প্রথম ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর বুধবার হেলথ কানাডা ফাইজারের ভ্যাকসিনে কানাডায় ব্যবহার এবং বিতরণের অনুমতি দেয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর অন্টারিও হচ্ছে প্রথম প্রভিন্স যারা এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেছে।
সিবিসি নিউজ জানায়, টরন্টোয় ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্ক এবং অটোয়ার হাসপাতাল অন্টারিও প্রভিন্সে প্রথম ভ্যাকসিন পাবে এবং তারা এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে।প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড আরো বলেন, প্রভিন্সের সরবরাহ নেটওয়ার্ক এর কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অটোয়াকে প্রথম দিনের ভ্যাকসন কর্মসূচীতে রাখা হয়েছে। এবং শুক্রবার অন্টারিও প্রভিন্সের ভ্যাকসিন বিতরণ এবং প্রয়োগের বিস্তারিত কর্মসূচী সর্বধারণের সামনে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
টরন্টো সান জানায় , প্রদেশের ভ্যাকসিন রোলআউট টাস্ক ফোর্সের শীর্ষস্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল রিক হিলিয়ার বলেছেন, তিনি ফাইজার ভ্যাকসিনের ৬,০০০ ডোজ – টরেন্টো ও অটোয়ার প্রতি ৩,০০০ পাবে বলে আশা করছেন – ৩,০০০ লোককে টিকা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দুটি ডোজ সরবরাহ করার পক্ষে এটি যথেষ্ট।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, অন্টারিও সরকার করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে আজ শুরু করে।
অনিতা কুইডাঞ্জেন নামে একজন ব্যক্তিগত সহায়তা কর্মী টরন্টোর ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্কে তার চার সহকর্মীর সাথে শহরের দীর্ঘমেয়াদী যত্ন কেন্দ্র ‘রেখাই কেন্দ্র’ থেকে প্রথম ডোজটি গতকাল গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৭,৭৫৪ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩,৫৩০ জন। কানাডায় সর্বশেষ একদিনে আক্রান্ত ৬,০১১ জন তন্মধ্যে ওন্টারিওতে ১,৮৫১ জন। ওন্টারিওতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪২,১৭১ এবং মৃতের সংখ্যা ৩,৯৪৯ জন ।