মোঃইবাদুর রহমান জাকির
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী এক কিংবন্তির নাম। যার দক্ষ নেতৃত্বের গুণে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা পেয়েছি শত্রুমুক্ত একটি স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিস্ময়কর নির্দিষ্ট ভূখন্ড। জেনারেল ওসমানী শৃঙ্খলিত জীবনের অধিকারী ছিলেন বলে জাতির দূর্যোগময় মুহূর্তে কান্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জাতীয় জীবনে বার বার শৃঙ্খলা ফেরাতে চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবীর ওসমানী বিশেষ অবদান রাখায় আমাদের সিলেটের মুখ উজ্জল করেছেন সারা বিশ্বের নিকট। বঙ্গবন্ধুর মত জেনারেল ওসমানীও সুনাম অর্জন করতে পেরেছেন। ইতিহাসে জেনারেল ওসমানী কাজের মাধ্যমে তাঁর নাম রেখে গেছেন। তাঁর চিন্তা চেতনা, আপোষহীনতা প্রজন্মের পর প্রজন্মের হৃদয়ে জাগ্রত হোক এই প্রত্যাশা সকলের।
তিনি ১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টায় বঙ্গবীর ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ জাতীয় কমিটি ও ওসমানী যাদুঘরের উদ্যোগে(সোবহানীঘাট) বঙ্গবীর জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী’র ১০২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ডা. এম. এ রকিবের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক এড. সুদীপ বৈদ্যের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলার এডিশনাল পিপি এড. শামসুল ইসলাম, ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন খন্দকার, বি. এইচ. আর. সি গর্ভনর ড. আর. কে ধর, বি.এম.বি.এফ সিলেট বিভাগের সভাপতি ড. দিলিপ কুমার দাস, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন মিত্র, এড. সুজিত বৈদ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ মালেক, রোটারীয়ান আসাদুজ্জামান।
বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদার, সিলেট সনাপের সভাপতি মো. বেলাল উদ্দিন, হাওর উন্নয়ন পরিষদ সিলেটের সভাপতি সুরঞ্জিত বর্মন, আইনজীবি সহকারি সমিতির সভাপতি শাকিল আহমদ, সাংবাদিক এম. এ মতিন, ডা. জানুদত্ত সেনাপতি, আলেয়া ইকবাল চৌধুরী।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন মো. মামুন চৌধুরী, আশিকুর রহমান রব্বানী, খালেদ মিয়া, ইউসুফ সেলু, আপ্তাবুর ইসলাম জবর, আব্দুস শহীদ ছালেক প্রমুখ।