রবিবার দুপুরে সিলেট এর বিয়ানীবাজার পৌরশহরের এক অভিজাত রেষ্টুরেন্টের হলরুমে আয়োজিত মাহফিলে ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল হাফিজ মাওলানা ছারওয়ার ফৈয়াজীর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহদী,মাওলানা মো. কুতবুল আলম ছাহেব জাদায়ে চান্দগ্রামী,মাথিউরা সিনিয়র ফাযিল ডিগ্রী মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. দেলওয়ার হোসাইন, পাতন কারীয়ানা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো.মানিক উদ্দিন, চারখাই দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. নাসির উদ্দীন, জালালিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মো.ময়নুল ইসলাম, মাস্টার লুৎফুল হক চৌধুরী, মাওলানা এ এফ এম ইয়াহইয়া,মাওলানা শিবরুল আমিন, মাওলানা সুয়াইব আহমদ, মাহবুবুল আলম চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো.দেলওয়ার হোসেন, মাওলানা আব্দুল মুহিত,আবু সাহেদ রুনেল,মাওলানা শাহিন আহমদ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।
হাফিজ আব্দুল ওয়াহিদের তিলাওয়াত ও হাবিবুর রহমানের নাতে রাসুলের মাধ্যমে শুরু হওয়া মাহফিলে আগত সকলের মধ্যে মাস্ক ও নামাজের চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয়।
অতিথিবৃন্দ পবিত্র আশুরা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিস্তর আলোচনা করেন। বিশেষত শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে আহলে বাইতের প্রতি মহব্বত রাখা ঈমানের পরিচয় বহন করে। কারবালার ট্রাজেডির পর থেকে মুলত হোসাইনি মুসলমান ও ইয়াজিদি মুসলমান হিসেবে মুসলিম মিল্লাত দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।ইতিহাসের এ নিদারুণ নিষ্ঠুর ঘটনা বাতিলের কাছে মাথা নত না করে হক্বের পথে কুরবানী বা ত্যাগের শিক্ষাই আমাদেরকে উজ্জীবিত করবে যুগযুগ ধরে। ইসলামি তাহযিব তামাদ্দুনের অংশ হিসেবে শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে মাহফিল তথা পবিত্র আশুরাসহ বিভিন্ন ইসলামী দিবসগুলো মুলতঃ হোসাইনি মুসলমানরাই করে থাকেন।
শেষে নবীজি (সাঃ) এর প্রতি দরুদ- সালাম পাঠ করে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃকামাল হোসেন আল মাথহুরীর মোনাজাত ও শিরনী বিতরণের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।