ছয়দিন বন্ধ থাকার পর বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের নির্দেশনা অনুযায়ী সংকট নিরসনে বৈঠকের পর গতকাল বুধবার (২৪ জুন) চালু হয়েছে রত্না চা-বাগান।
‘কিছু উশৃঙ্খল শ্রমিক-কর্মচারী বাগানের বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনায় বাধা দিচ্ছেন। এতে উৎপাদন ও দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।’ এরকম অভিযোগে গত ১৮ জুন এফ রহমান টি কোম্পানি লিমিটেডের মালিকানাধীন রত্না চা-বাগান কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাগান বন্ধ ঘোষণা করে। পরে বাগান শ্রমিক ও বিভিন্ন মহল চা-বাগানটির কার্যক্রম চালু করার দাবী জানায়। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।সৃষ্ট সংকট নিরসনে গত ২০ জুন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে একটি জরুরী সভা করা হয়। সভায় ইউএনও অসীম চন্দ্র বনিক, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের জুড়ী ভ্যালি কমিটি ও রত্না চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সৃষ্ট কঠিন পরিস্থিতির জন্য বাগানের পঞ্চায়েত দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা আর ঘটবে না বলে অঙ্গীকার করেন। পরে সকলের মতামতের ভিত্তিতে বাগানের সার্বিক বিষয়ে সাতটি কার্যত সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর ইউএনও এই সভার রেজুলেশনটি বাগানের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ জুন বাগানটির প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগের আবু হেনা মোস্তফা কামালের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে বাগানটি ফের চালু করার জন্য নির্দেশনা হয়।
২৪ জুন বুধবার থেকে চা-বাগানটি ফের চালু করা হবে মর্মে সকলকে যার যার কাজে যোগদান করার জন্য নোটিশে বলা হয়। এরসাথে যদি বিদ্যমান সংকটের পুনরাবৃত্তি ঘটে তবে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী অত্র প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধসহ যে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে নোটিশে ঘোষণা করে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিন রত্না চা-বাগানে গেলে চা উত্তলনসহ বাগানের সার্বিক কাজ চলতে দেখা গেছে। বাগান চালু হওয়ায় শ্রমিকরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন।