­
­
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারা দেশে সরকারি ফার্মেসি চালু করছে সরকার  » «   ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে বাটা-কেএফসি ভাংচুর : ৪ মামলা, গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান  » «   গাজায় গণহত্যা: ছয় জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ  » «   গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, সংকুচিত হয়ে পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা  » «   গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন : প্রতিবাদে সামিল বাংলাদেশ  » «   যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ: বাংলাদেশের জন্য সুযোগও সৃষ্টি হতে পারে  » «   ১০০ ডলারের টি-শার্টের শুল্ক ৪৯ ডলার!  » «   বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর অস্থায়ী ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির  » «   ট্রাম্পের শুল্ক ধাক্কা কীভাবে সামলাবে বাংলাদেশ  » «   ইউনূস-মোদীর প্রথম বৈঠকে হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইল বাংলাদেশ  » «   বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭% শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের, পোশাক শিল্পে বড় ধাক্কা  » «   জাফলং ঘুরতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো কিশোরের  » «   ১৭ বছর পরে জাতীয় ঈদগাহের ঈদ জামাতে সরকারপ্রধান  » «   ঈদ আসে, গাজায় আনন্দ আসে না  » «   এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া  » «  

ছেলে হত্যার বিচার চান কুয়েত প্রবাসী সফিকুল



নতুন বই হাতে নতুন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বড় বোন সুমাইয়ার হাত ধরে মাত্র দুই দিন স্কুলে যাওয়ার পর আর বিদ্যালয়ে যাওয়া হল না কুয়েত প্রবাসী শফিকুল ইসলামের ছেলে হাবিবুল বাসার ফয়সালের (৫) । পরিবারের সবার নয়নের মনি ফয়সাল কে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আইডিয়াল স্কুলের ক্লাস নার্সারীতে ভর্তি হয়ে বুধবার,বৃহস্পতিবার দুই দিন স্কুলে যাওয়ার পর শুক্রবার ৪ জানুয়ারি সকালে খেলাধুলা করতে গিয়ে সেখান থেকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
আশপাশে খোজা খোজির পর সন্ধ্যান না পাওয়ায় ঐদিন দোয়ারাবাজার থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী (নং ১৪৫) করেন ফয়সালের দাদা আবুল বাসার। ৭ জানুয়ারি ভোরে বড়খাল গ্রামের মরাচেলা নদীর পূর্ব পাড়ে একটি শিশুর লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী খবর পেয়ে ছুটে যায় তার পরিবার দেখতে পায় সবুজ ঘাসের উপর পড়ে রয়েছে ফয়সালের প্রাণহীন নিথর দেহ । দোয়ারা বাজার থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

ফয়সালে মা মনিরা আক্তর বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও হত্যা মামলা নং ৫ ০৮/০১/১৯ দায়ের করেন। নিহত ফয়সালের পিতা কুয়েত প্রবাসী সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি র্দীঘ ১৯ বছর যাবৎ প্রবাসে আছি। এইবার দেশে যাওয়ার পর ছুটি শেষে ২৫ ডিসেম্বর কুয়েতে আসার পর ৪ জানুয়ারি আমার একমাত্র ছেলেকে অপহরণ রাখার পর হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ সরকারে কাছে একটা দাবী আমাদের প্রবাসীদের পরিবার জান মালে নিরাপত্তা চাই। সুষ্ঠ তদন্তে মাধ্যমে আমার নিষ্পাপ নিরপরাধ ছেলের খুনিদের খোজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। আগামীতে যাতে অন্যকোন প্রবাসী পরিবারের সাথে আমার মত এই রকম ঘটনা না ঘটে সেজন্য দেশের প্রশাসন ও দেশবাসী ও প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতা কামনা করছি।

এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার মামলার তদন্তকর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই মামলায় সন্দেহভাজন শাহ আলম (২২) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন