আমিরাতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩০০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫৩ জন। দেশটিতে এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬৫৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৩৯ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ১২ জনের। এ পর্যন্ত আমিরাতে ৫ লাখের বেশি মানুষকে টেস্ট করা হয়েছে। সংখ্যা বাড়ায় আতংকিত না হয়ে বরং সচেতনতায় এর প্রতিরোধে চিকিৎসা সেবা নিতে সরকারের পক্ষ থেকে আহবান করা হয়েছে। সরকার আরো জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ণ্ত্রণে আনতে দেশটিতে জাতীয় জীবানুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া ইতবাচক কাজে আসছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকল প্রবাসিকে আহবান করা হয়েছে।
করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার তীব্র প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে দুবাইয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এপ্রিলের ৭ তারিখে সাধারণ মানুষের জন্য আল নাসের ক্লাবে একটি কোভিড -১৯ পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর ঘোষণা দিয়েছে। এই কেন্দ্রটি প্রবীণ নাগরিক, গর্ভবতী মহিলা সহ দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি বা কোভিড -১৯ উপসর্গের লোকদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরীক্ষা সেবা প্রদান করবে।
আবুধাবিতে বেশিরভাগ আউটপেশেন্ট ফার্মেসীকে প্রয়োজনে রোগীদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর অনুমোদন দিয়েছে। সেইসাথে শিল্প অঞ্চল ও শ্রমিক আবাসন এলাকায় নতুন সময়সূচি করা হয়েছে তবে সমবায় সমিতি, মুদি দোকান এবং সুপারমার্কেটের পাশাপাশি ফার্মাসিগুলি অবশ্যই রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকতে হবে এবং চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকতে পারবে বলেও অনুমতি রয়েছে।
পূর্বে, জীবাণুমুক্তকরণের প্রক্রিয়া চলাকালীন সময় বাড়ী থেকে বের হওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কেবল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন থেকে তাদের অবশ্যই অনুমোদিত মুভমেন্ট পারমিটের স্ক্রিনশট সাথে রাখতে হবে।
সেইসাথে দুবাইয়ের সমস্ত ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ১৮ এপ্রিল জাতীয় জীবাণুমুক্তকরণ কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সমস্ত সামাজিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক জমায়েত এবং বিবাহ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে। এবং গতকাল হতে দুবাইয়ের ব্যক্তিগত স্ট্যাটাস আদালতও যে কোনও ধরণের বিবাহ বা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা স্থগিত করেছে। মানুষের কথা ভেবে এবং সবধরণের প্রস্তুতি নিয়ে দুবাইয়ের ওয়াটারফ্রন্ট বাজারের মধ্যে অবস্থিত মাছ, মাংস, শুকনো পণ্য এবং ফলমূল ও শাকসব্জির বাজারগুলিকে ৭ এপ্রিল হতে পুনরায় চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে।
শারজাহ শহরে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে ট্র্যাফিক দুর্ঘটনায় ৮৪% হ্রাস পেয়েছে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এটি একটি ইতিবাচক দিক বলেও জানানো হয়েছে।
আমিরাত ও ইত্তিহাদ এয়ারলাইন্সের কয়েকটি গন্তব্যে ফ্লাইট শুরু করার পরে ফ্লাই দুবাই ভারত ও পাকিস্তানের বুকিং গ্রহণ করা শুরু করেছে। তবে দু’দেশেই ফ্লাই দুবাই ফ্লাইট পুনরায় চালু করা এখনও সংশ্লিষ্ট সরকারের অনুমোদনের বিষয়। অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাকিস্তান দূতাবাস সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান যাওয়ার জন্য ‘স্পেশাল ফ্লাইটে’ টিকিট বুকিং দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া কিছু ট্রাভেল এজেন্সির প্রতারণার বিষয়ে পাকিস্তানি নাগরিকদের সতর্ক করেছে। দু’দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হওয়ার পরে দূতাবাস নিজেই ঘোষণা দিবে বলে জানানো হয়েছে।