সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীট এমসি কলেজের ১২৫ বছর পুর্তী উপলক্ষে বৃটেনে বসবাসরত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছিল এক মিলন মেলা।
৯ সেপ্টেম্বর রবিবার ম্যানচেস্টারে অভিজাত রেষ্টুরেন্ট বারমিলিয়নের হলে অনুষ্ঠিত দুপুর থেকে ছিল মুখরিত। একসময় যুক্তরাজ্যের প্রায় প্রতিটি শহর থেকে এমসি কলেজ এর কয়েকশ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে অনুষ্টানটি পরিণত হয়েছিল এক মিলনউৎসবে।
রিইউনিয়নটি সফল করার লক্ষে বিগত দুই বছর বৃটেনের বিভিন্ন শহরে রোড শো করেন আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করেছেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরাও।
এমসি কলেজের সাবেক নির্বাচিত ভিপি খছরুজামান খছরু রিইউনিয়নের পুর্তি অনুষ্ঠানে সকলের পক্ষ থেকে ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটিকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানিয়েছেন।
বর্ণাঢ্য র্যালীর মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপি উৎসবের। র্যালীতে আয়োজকদের সাথে ছিলেন আগত অতিথিবৃন্দও।
পরে ,মৌওলানা খাইরুল হুদা খানের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে হলে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠানমালা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও বৃটেনের জাতীয় সংগীত ও এমসি কলেজের ১২৫ বছর পুতি উপলক্ষে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ,বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেছা মে ও বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ভিডিও বার্তা দেখানো হয়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখে রাখেন আহবায়ক ডা: মোশারফ হোসেন।
অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সেডো সেক্রেটারী অব এডুকেশন আফজাল খান এমপি, ম্যানচেস্টারস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আবু নাসের মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ থেকে অতিথি হিসাবে আগত বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শোয়াইব জিবরান, কলেজের সাবেক শিক্ষক আব্দুল মালেক, ইকবাল আহমেদ ওবিই, কবির আহমেদ এমবিই ও জেপিসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে রিইউনিয়নে যোগ দেয়া বিশিষ্টজনেরা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেছেন সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকে । আনন্দঘন অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন মস্তফা কামাল খান,জাকি মোস্তফা টুটুল ও শেখ আবু জাফর । দিনব্যাপি অনুষ্ঠানে সবার মুখে ছিল প্রাণখোল হাসি আনন্দ আর ফেলে আসা আনন্দস্মৃতির রোমন্থন।
কণ্ঠ: সুমু মির্জা