­
­
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সৌদির সমাজে বড় পরিবর্তন, কীভাবে সম্ভব হলো?  » «   আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এখন আমরা কী নির্মাণ করছি?  » «   ডলার খোলাবাজারে : দাম অস্বাভাবিক বাড়লে কী হবে?  » «   নির্বাচন নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ কেন?  » «   আওয়ামী লীগ নিয়ে খবর প্রকাশ বা সোশাল মিডিয়ায় লেখাও কি নিষেধ?  » «   জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি: চিফ প্রসিকিউটর  » «   ভুয়া ‘জুলাই যোদ্ধা’র হাতে সরকারি অনুদানের চেক  » «   কে জিতল—ভারত, না পাকিস্তান?  » «   আওয়ামী লীগের ‘কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা’র মানে কী?  » «   বাংলাদেশে মার্কিন পণ্যের আমদানি বাড়বে, কমবে শুল্ক  » «   আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞার ফল কী? জামায়াতের বিচার নিয়ে প্রশ্ন  » «   পা দিয়ে লিখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় মানিক  » «   এখন লড়াই ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে: ফরহাদ মজহার  » «   ইতালিতে ‘জিহাদি উসকানি’র অভিযোগে দুই বাংলাদেশি যুবক আটক  » «   ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামলো কীভাবে, টিকবে কতদিন  » «  

ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টি ছিল ভুল বোঝাবুঝি
বিয়ানীবাজার বাসুদেব বাড়ির অপ্রীতিকর ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান



বিয়ানীবাজারে গত ১৫ জুন সকালে বাসুদেব বাড়ীর সীমানা প্রাচীর নির্মাণকালে সংগঠিত অপ্রীতিকর ঘঠনার প্রেক্ষিতে আজ ২০ জুন স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধি নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে এই অনাকাংখিত ঘঠনার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি হয় এবং উভয়পক্ষের দাবি দাওয়ার বিষয়ে বাসুদেব সেবক সংঘ ও এলাকাবাসীর সাথে বৈঠকে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামাল হোসেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মনজ্জির আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি সামসুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখর উদ্দিন, বাসুদেব সেবক সংঘের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহেশ ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ পাল চৌধুরী, সদস্য অরুণাভপাল চৌধুরী মোহন, সাংবাদিক সজীব ভট্টাচার্য, সাধন দত্ত, শংকর দেব, সুকেন্দু চক্রবর্তী, অজিত আচার্য, আশীষ চক্রবতী প্রমুখ।

বৈঠকে অংশ নেয়া স্থানীয়রা জানান, আমরা হিন্দু-মুসলিম সবাই বাসুদেব মন্দিরে বসে আলোচনার মাধ্যমে অপ্রীতিকর ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান নিশ্চিত করেছি। এখানে হিন্দু ধর্মের লোকজন যেমন ছিল তেমনি ছিলেন মুসলিম ধর্মের লোকজনও। আসলে আমরা এখানে ধর্ম-বর্ণের চেয়ে অগ্রাধিকার ছিল আমরা সবাই এক এলাকায় বসবাস করি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব বলেন, সম্প্রীতির বন্ধন নষ্ট হয়নি- বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমরা এলাকাবাসী হিন্দু-মুসলিম সবাই বসে এ ঘটনার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করে দিয়েছি এবং আগামী এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সর্তক করে দেয়া হয়েছে।এছাড়া বাসুদেব বাড়িতে যারা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তাদের বাসুদেব অঙ্গনের মান মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে বসবাস করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব বলেন,দেয়াল নির্মাণসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বাসুদেব সেবক সংঘের সাথে এলাকাবাসীর বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান হবে। শিগগিরই সে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে

বৈঠক শেষে ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন বলেন, আমরা সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কথা বলে সৃষ্ট ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করেছি। বাসুদেব বাড়ী নিয়ে যাতে আগামীতে আর কোন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেজন্য দেয়াল নির্মাণ প্রক্রিয়ারও স্থায়ী সমাধান করা হবে।

বাসুদেব সেবক সংঘের সদস্য অরুণাভপাল চৌধুরী মোহন বলেন, সুন্দর ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং গত ১৫ জুনের ঘটনার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি হয়েছে।তবে বাসুদেব এবার রথে চড়বেন কি না সেটির বিষয়ে বাসুদেব সেবক সংঘের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত ১৫ জুন বাসুদেব বাড়ির সীমান প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে একটি মহল বিশেষ এটাকে ‘ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক হামলা‘ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানীমূলক স্টেটাস দিলে দেশ বিদেশে সমালোচনা হয়। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ইঙ্গিত করেও ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি আঘাতে তাদের নির্লিপ্ততার প্রসঙ্গ যুক্ত করা হয়। দুই পক্ষের বিরোধকে সামনে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর বিয়ানীবাজারকে নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন