­
­
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানিতে চমক: চীনের ঘাটতি পূরণ করছে বাংলাদেশ  » «   কানাডায় লিবারেলদের জয়, কী কারণ  » «   রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য কী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে?  » «   ইউরোপ ৪ দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন!  » «   ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি  » «   বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার  » «   নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ  » «   ৬০ টন পণ্য নিয়ে সিলেট থেকে উড়ল প্রথম কার্গো ফ্লাইট  » «   রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার  » «   শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি  » «   ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ কবিতার কবি দাউদ হায়দার আর নেই  » «   গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি আটক  » «   ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কোন দিকে মোড় নিতে পারে?  » «   পাকিস্তানের আছে ১৫০টি পরমাণু বোমা, ভারতের কত?  » «   কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী?  » «  

বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বার্সেলোনায় পুলিশ প্রশাসনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান



স্পেনের বার্সেলোনায় বাংলাদেশী কমিউনিটিকে বিভিন্নভাবে আইনী সহায়তা করার জন্যে বার্সেলোনার পুলিশ প্রশাসনকে স্থানীয় বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের পক্ষ থেকে ও স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। ২ ডিসেম্বর সকাল এগারোটায় শহরের ডিস্ট্রিক সিউদাদ ভেইয়ার কমিসেরিয়া (থানা) মোসোস ডে এসকোয়াড্রা অফিসের কনফারেন্স রুমে বার্সেলোনার বাংলাদেশের কনস্যুলেটর সিনিয়র রামন পেদ্রো বারনেবেউ সিউতাদ ভেইয়া থানার প্রধানের হাতে বিশেষ সম্মাননা স্মারণ তুলে দেন।

এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রধান, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের প্রধান, কমিউনিটির সাথে সম্পর্ক ইউনিটের উপপ্রধান। বাংলাদেশীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনি এবং অল ইউরোপ বাংলাদেশে প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ও স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রথম সদস্য মিরন নাজমুল।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সম্বলিত কনফারেন্স রুমে এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত কনস্যুলেটর ও স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিরা মতবিনিময় করেন। বার্সেলোনায় নিযুক্ত বাংলাদেশী কনস্যুলেটর রামন পেদ্রো এ সময় তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, স্পেনের বাংলাদেশীদের কমিউনিটির একটা বড় অংশ বার্সেলোনায় বসবাস করেন। বাংলাদেশীরা তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও সামাজিক কার্যক্রমে সব সময় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়েছেন। এ জন্য তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, বার্সেলোনায় বাংলাদেশের কনস্যুলার সার্ভিসসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা করার জন্য অনুমতি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতার জন্য সব সময়ই বাংলাদেশী কমিউনিটি এই পুলিশ প্রশাসনকে বন্ধু হিসেবে কাছে পেয়েছেন।

পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিস্ট্রিক সিউদাদ ভেইয়ার কমিসেরিয়া (থানা) মোসোস ডে এসকোয়াড্রার প্রধান তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, বার্সেলোনা তথা কাতালোনিয়ার শহরবাসী হিসেবে বাংলাদেশীদের তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেন। বাংলাদেশীদের সামাজিক আচরণ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের বিষয়টি তাদের নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ী অনেক বেশি সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, বার্সেলোনার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য এটা অনেক সুন্দর সময় বাংলাদেশীদের সাথে আরো সুন্দরভাবে পরিচিত হওয়া। তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটিকে যে কোন ধরণের আইনি সহায়তার জন্যে তার প্রশাসন আরো বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশা ও রঙের নেপথ্যকারণসহ বাংলাদেশের ভাষা ও স্বাধীনতা অর্জনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হয়। উক্ত আলোচনায় অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশের এই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে যে কেন জাতির জন্যে অনেক বড় গৌরবের বিষয় বলে মন্তব্য করেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন