𝟝𝟚𝕓𝕒𝕟𝕘𝕝𝕒𝕥𝕧 ।। বাংলা সংযোগ দেশে দেশে
বাংলাদেশের বন্ধু রাস্ট্র শ্রীলংকার অর্থনীতি ভালো নেই। ঋণে জর্জরিত দেশটিকে ২০২১ সালের মধ্যেই প্রায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ শোধ করতে হবে।আর এরকম অবস্থায় বন্ধু রাস্ট্রের সাহায্য চাওয়াতে শ্রীলংকার পাশে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ডুবতে থাকা শ্রীলংকা মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থার আওতায় দেশটিকে ২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে, এটিই হবে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ঋণ দেয়ার প্রথম গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা।
ভারত মহাসাগরে জেগে ওঠা দ্বীপরাস্ট্র শ্রীলংকার অর্থনীতি দেশটির চারদিকে বেষ্টিত দ্বীপগুলোকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। মৎস্য আহরোণ ও বিদেশী পর্যটকদের মাধ্যমেই অর্থনীতির চাকা ঘুরে। কিন্তু করোনার ভয়াবতায় বিদেশি পর্যটক নেই বললেই চলে।
উপরন্তু দেশটিতে রয়েছে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ক্ষত। রয়েছে বৈদেশিক ঋণের চাপও। দেশটির ৭৩ বছরের ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দায় নিমজ্জিত এখন। আর এই ভয়াবহ মন্দা উত্তোরণে এখন রিজার্ভ বাড়ানোর নেই কোনো বিকল্প ।
বাংলাদেশের নিকট থেকে ডলার পেতে তাই লন্ডন আন্ত:ব্যাংক অফার্ড রেটের চেয়েও ২ শতাংশ বেশি সুদ গুণতে রাজি শ্রীলংকা সরকার।
একদিকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাস্ট্র।তার সাথে আছে ঋণের উচ্চসুদ। এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব বাড়ানোর সুযোগও রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। এসব বিবেচনায়, তাই রিজার্ভ থেকে শ্রীলংকাকে দেয়া হচ্ছে ২০ কোটি মার্কিন ডলার।
সরকারের সংশ্লিষ্ট অর্থনীতিবিদরা বলছেন,বর্তমান বাস্তবতা হলো, বিদেশে ডলার বা ফরেনকারেন্সি লোন রাখলে তেমন কোন লাভ হয় না। এই ক্ষেত্রে লংকান সরকারকে ডলার ঋণ দিলে ২ শতাংশ বা তারও অধিক লাভ হতে পারে।
বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার। আর শ্রীলংকার রিজার্ভের পরিমাণ মাত্র সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সেখানে ২শ মিলিয়ন ডলার ঋণ খুব বড় একটা দায়বদ্ধতা নয় বলেও সংশ্লিষ্ট অর্থনীতিবিদরা বলেছেন।
তথ্যমতে, বাংলাদেশ যত ডলার দেবে, তার সমমূল্যের শ্রীলংকান রুপি গ্যারান্টি হিসেবে জমা রাখবে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলংকা। তাই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার আশঙ্কা থাকছে না।
প্রসঙ্গত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত মার্চে ঢাকায় আসেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এর কিছু দিন পরেই ডলার চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠায় সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলংকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্ধু রাস্ট্রের বিপদে এটা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।