এদিকে ট্রেড লাইসেন্স চাওয়ায় অশোভন আচরণ করায় সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুজ্জামান সাইদ। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জনাব দেবাশীষ মল্লিক গোপালপুর ইউনিয়নে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আমার জরুরীভাবে একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হওয়ায়, তাৎক্ষনিকভাবে খোজ নিয়ে জানতে পারি তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে রয়েছেন। তখন ২৭ আগস্ট সাড়ে ১১টার দিকে আমি ও কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে যাই। সচিবের কাছে ট্রেড লাইসেন্সের কথা বলি। তখন তিনি আমাকে বলেন এখন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। এসময় কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে অশোভন আচরণ করেন। যা আমি তার কাছ থেকে আশা করিনি। তাৎক্ষনিকভাবে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আশপাশের লোকজন এসে জানতে চাইলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন “আমি চেয়ারম্যানের চাকুরী করিনা, আমি ডিসিকে বলছি, তোদের দেখিয়ে দিচ্ছি”। আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি। গত ১২ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের একটি প্রতিবাদে আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও আপত্তিকর কথা লেখা হয়েছে। যা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এছাড়াও সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পদ আত্নসাত, গ্রাম পুলিশদের হাজিরা খাতা আটকিয়ে রাখা, মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যা একাধিক গণ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব দেবাশীষ মল্লিকের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ শুনেছি। আমরা লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে যথাযথ তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।