বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছে প্রায় এক কোটি বিশ লক্ষ বাংলাদেশী। লেবাননে নারী -পুরুষ মিলে বর্তমানে এক লাখ ষাট হাজারেরও অধিক প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। কারণ -অকারণে, বৈধ বা অবৈধ নারী – পুরুষ সাজা প্রাপ্ত বা বিচারাধীন এবং “লেবানন মানবাধিকার সংগঠন কেডিটাচ এর অধীনে শিশু -নারী চার জনসহ লেবানন কারাগারে আটক রয়েছে মোট ৮৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশী। আগামী ২রা আগষ্ট থেকে এই আটক প্রবাসীদেরকে দেশে প্রেরণের মধ্য দিয়ে ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানান লেবানন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ( শ্রম) দূতালয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, লেবানন সরকারের বিভিন্ন জায়গায় অনেক দেন দরবার করে অবশেষে দূতাবাসের সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে আগামী ২রা আগষ্ট থেকে ৩ আগষ্ট ডিটেনশন সেন্টারে আটককৃতদেরকে দেশে প্রেরণ করা হবে। এছাড়াও গত সেপ্টেম্বর কাগজপত্রহীন প্রবাসীদেরকে এক বছরের জরিমানা ও বিমান টিকেট টাকা পরিশোধ করে বিশেষ সুযোগে প্রায় সাড়ে সাত হাজার প্রবাসী দেশে ফেরতে নাম নিবন্ধন করেন।
তাদের মধ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রবাসী দেশে ফিরতে পারলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিমান চলাচল এবং ফ্লাইট বন্ধের কারণে ফিরতে না পারা প্রবাসীদেরকেও ৮ই আগষ্ট পর্যন্ত প্রেরণের কার্যক্রম চলবে বলে জানান।
আরো বলেন, এসময়ে প্রাথমিকভাবে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ শত প্রবাসী দেশে ফিরতে পারবেন। দূতাবাস থেকে যাদের মাঝে টিকেট বিতরণ করবে, তারা করোনা ভাইরাস টেস্ট করে ফলাফল নেগেটিভ হলে দেশে ফিরতে পারবেন। যাদের করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসবে তাদেরকে পরবর্তীতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি। এসময়ে দেশে প্রেরণে কাতার এয়ারওয়েজের টিকেট বুকিং করা হয়েছে এবং বাকীদের প্রেরণের জন্য আরও টিকেট চাওয়া হয়েছে বলেও জানান।
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ কারণে সারা বিশ্বে লকডাউন সহ বিমানবন্দর, ফ্লাইট সহ জীবনযাত্রা প্রায়ই বন্ধ হয়ে আবার প্রাণ ফিরতে যাচ্ছে।দূতাবাস প্রবাসীদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।বর্তমান পরিস্থিতি এভাবে স্বাভাবিক থাকলে বাকীদেরকে প্রেরণ অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব হবে তার জন্য সবাই দোয়া করতে বলেন তিনি।
এছাড়াও বলেন, যারা নাম নিবন্ধন করেছেন, যাদের জেনারেল সিকিউরিটি থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেল এবং এক্সিট ভিসার কাজ সম্পুর্ন হয়েছে তাদেরকে টেলিফোনের মাধ্যমে দূতাবাস অবগত করানো হচ্ছে বা অবগত করানো হবে। আর সিরিয়াল অনুসারে ব্যবস্থা নিচ্ছে দূতাবাস কিন্ত অনেকে পেছনের সিরিয়ালধারী আগে যাওয়ার জন্য তদবির করতে দূতাবাসে না আসার অনুরোধ জানান। লেবাননে করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণ প্রথমে কম সংখ্যক থাকলেও বর্তমানে দিন দিন বাড়তে থাকায় সকল বাংলাদেশী প্রবাসীদেরকে এখানকার নিয়ম-কানুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।