বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ফ্লাইটে করোনা আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ফিরছেন ইতালিতে। তথ্য গোপন করে ইতালিতে এসে তারা উঠছেন বাসা বাড়িতে। ছড়িয়ে দিচ্ছেন অন্যান্যদের মাঝেও। রাজধানী রোমে বাংলাদেশ থেকে আসা করোনা আক্রান্ত এক প্রবাসী আক্রান্ত করেছেন তার বাসার আরো চার জনকে।
ফ্লোরেন্স বলনিয়া আনকোনা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৫০ জনের আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকার কারণে অনেককেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। দেখা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত এক প্রবাসী বাংলাদেশী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাজারে, যাচ্ছে দূতাবাসে এবং বন্ধুদের সাথেও সময় কাটাচ্ছে। আর এভাবেই ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝেও। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এটাকে ভালো চোখে দেখছেন না। বলছেন, এতে করে ইতালিতে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
ইতালিতে ফেরা এক আক্রান্ত প্রবাসী বিমানবন্দরের কাছে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করায় একই মালিকের দুটি রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই দুটি রেস্টুরেন্টসহ প্রায় এক হাজার মানুষের পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম। লাচ্ছিও বিভাগ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চেয়েছে, আক্রান্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে বিমান ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ রুমে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশীর করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে এ পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশী ইতালি ফিরেছেন। জুলাই মাসে আরও প্রায় ৬শ’ বাংলাদেশীরা ইতালিতে ফেরার কথা রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রবাসীদের মধ্যে যাদের স্টেপারমিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদেরকে রি-এন্ট্রি ভিসা নিয়ে ইতালিতে ফিরতে হবে বলে জানিয়েছিল ইতালী সরকার। তবে পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ ঐ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার ইতালিতে মারা গেছে ২১জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ২৩৫ জন। এদিকে ইতালির চৌদ্দটি বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় কেউ মারা যায়নি।