নোয়াখালীর সেনবাগে সাম্প্রতিক আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি মিজান ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি করে বলেছে,মিজানকে গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে ‘তার অনুসারীদের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়’। বন্দুক যুদ্ধের এক পর্যায়ে সে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।পালিয়ে যাওয়ার সময়’ মিজান তার ‘অনুসারীদের গুলিতে’ নিহত হয়।
নিহত মিজানুর রহমান সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার নাওতলা গ্রামের বাসিন্দা। গত শনিবার রাতে এক বেকারির শিশু শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয় নোয়াখালী সহ সোশ্যাল মিডিয়ায়।পরে বেকারির মালিক সেনবাগ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, সোমবার রাত সোয়া দুইটার দিকে সেনবাগ উপজেলার ছাতার পাইয়া পূর্ব বাজারে আটক মিজানুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে
পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে যায়। এসময় তার অনুসারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। একপর্যায়ে মিজান পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহত হয়। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে শিশু ধর্ষক মিজানের মৃত্যুতে সেনবাগ এলাকায় ও সামাজিক মাধ্যমে মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে।