হাই কোর্ট থেকে জামিন পেলেন শমী কায়সার
- আপডেট সময় : ০৫:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
- / 96
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আগে দেওয়া রুলের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করে রুল নিষ্পত্তি করেন।
চলতি বছরের ৯ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরায় টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফকে হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার সিএমএম আদালত। এর আগে, গত ১২ মার্চ রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় করা একই মামলায় তিনি জামিন পান।
গত বছরের ৫ নভেম্বর রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাসা থেকে শমী কায়সারকে আটক করা হয়।
নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর হাই কোর্ট রুল দিয়ে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
রাষ্ট্রপক্ষ ওই জামিন স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করলে, ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ দেন এবং বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।
পরে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখে হাই কোর্টকে রুল নিষ্পত্তির জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় রুলের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর হয়।
সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট এবং ১৪ আগস্ট শমী কায়সার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার ও লেখক, গবেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারের কন্যা শমী নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি প্রযোজনায়ও যুক্ত হন।
অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন শমী কায়সার। তিনি দীর্ঘদিন ই-ক্যাবের সভাপতি ছিলেন এবং এফবিসিসিআই পরিচালকও হন।
এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে দলের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।


















