ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সাহিত্য সম্মাননা পদক পাচ্ছেন কবি হামিদ মোহাম্মদ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • / 613
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য-এর পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের “সম্মাননা পদক”(সাহিত্যে) প্রদানের জন্য কবি হামিদ মোহাম্মদকে মনোনীত করা হয়েছে।

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্য কর্তৃক সমাজ ও কমিউনিটিতে সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রতিবছর সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়ে থাকে।

গত ৭ আগস্ট ‘২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত ইসি কমিটির সভায় গঠিত মনোনয়ন কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের ২০২৩ সালের জন্য সাহিত্যে সম্মাননা পদক প্রদানের জন্য কবি, উপন্যাসিক, সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদকে মনোনীত করা হয়। আগামী ১০ ও ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ মাইল এন্ড- এর আর্ট প্যাভিলিয়নে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের মুল মঞ্চে এ পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেয়া হবে।

কবি হামিদ মোহাম্মদের পুরো নাম মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। তিনি ১৯৫০ সালের ১১ জানুয়ারি সিলেটের ছাতক উপজেলার চেলার চর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সিলেটে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ১৯৮৩ সালে শিকড় সংস্কৃতি চক্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি খেলাঘর, উদীচী ও শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

১৯৮৯ সালে লন্ডন শাখা উদীচীর উদ্যোগে ও জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনীর সহযোগিতায় সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ বইমেলার অন্যতম আয়োজক ছিলেন হামিদ মোহাম্মদ। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করছেন এবং সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করার সুবাদে তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন সক্রিয় সংগঠক ও কর্মী। বর্তমানে তিনি সাপ্তাহিক পত্রিকার কন্ট্রিবিউটর।

হামিদ মোহাম্মদ নিয়মিত গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ-কবিতা স্বপ্নের লালঘুড়ি, আমার মৃত্যুর পর কোনো শোকসভা হবে না, উড়ালপাখি, তোমার অনিন্দ নাম, এবং গল্পগ্রন্থ হৃদয়ে রঙধনু, লাল গোলাপ, উপন্যাস-কালোদানব, স্কোয়াটিং, মাতাল বাঁশি, পাথরকন্যা, জাহাঙ্গীরর ডর ও পংখিরাজ। তাঁর লেখা মননশীল গ্রন্থ- শিকড়ের দিনগুলি ও অন্যান্য, নন্দিত ভুবনে, বিলেতের সাহিত্য, রূপালি সোনালী মাটি এবং বিশেষ গ্রন্থ- প্রেমের কবিতা ও কবিতা সমগ্র ১।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সাহিত্য সম্মাননা পদক পাচ্ছেন কবি হামিদ মোহাম্মদ

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য-এর পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের “সম্মাননা পদক”(সাহিত্যে) প্রদানের জন্য কবি হামিদ মোহাম্মদকে মনোনীত করা হয়েছে।

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্য কর্তৃক সমাজ ও কমিউনিটিতে সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রতিবছর সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়ে থাকে।

গত ৭ আগস্ট ‘২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত ইসি কমিটির সভায় গঠিত মনোনয়ন কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের ২০২৩ সালের জন্য সাহিত্যে সম্মাননা পদক প্রদানের জন্য কবি, উপন্যাসিক, সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদকে মনোনীত করা হয়। আগামী ১০ ও ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ মাইল এন্ড- এর আর্ট প্যাভিলিয়নে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের মুল মঞ্চে এ পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেয়া হবে।

কবি হামিদ মোহাম্মদের পুরো নাম মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। তিনি ১৯৫০ সালের ১১ জানুয়ারি সিলেটের ছাতক উপজেলার চেলার চর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সিলেটে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ১৯৮৩ সালে শিকড় সংস্কৃতি চক্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি খেলাঘর, উদীচী ও শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

১৯৮৯ সালে লন্ডন শাখা উদীচীর উদ্যোগে ও জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনীর সহযোগিতায় সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ বইমেলার অন্যতম আয়োজক ছিলেন হামিদ মোহাম্মদ। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করছেন এবং সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করার সুবাদে তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন সক্রিয় সংগঠক ও কর্মী। বর্তমানে তিনি সাপ্তাহিক পত্রিকার কন্ট্রিবিউটর।

হামিদ মোহাম্মদ নিয়মিত গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ-কবিতা স্বপ্নের লালঘুড়ি, আমার মৃত্যুর পর কোনো শোকসভা হবে না, উড়ালপাখি, তোমার অনিন্দ নাম, এবং গল্পগ্রন্থ হৃদয়ে রঙধনু, লাল গোলাপ, উপন্যাস-কালোদানব, স্কোয়াটিং, মাতাল বাঁশি, পাথরকন্যা, জাহাঙ্গীরর ডর ও পংখিরাজ। তাঁর লেখা মননশীল গ্রন্থ- শিকড়ের দিনগুলি ও অন্যান্য, নন্দিত ভুবনে, বিলেতের সাহিত্য, রূপালি সোনালী মাটি এবং বিশেষ গ্রন্থ- প্রেমের কবিতা ও কবিতা সমগ্র ১।