ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

সব মামলায় খালাস তারেক রহমান, দেশে ফিরতে বাধা নেই

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 285
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বসুন্ধরা গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির হত্যায় দায়মুক্তি জন্য ঘুষ গ্রহণের অপরাধে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এর মাধ্যমে বিচারিক আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ ৩-এর বিচারক আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, তারেক রহমানের সাবেক পিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল।
তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ঢাকার বিশেষ জজ ৩-এর বিচারক বসুন্ধরা গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে তিনি বলেছেন, এটি একটি হোপলেস মামলা। অন্যায়ভাবে এ মামলা সাজানো হয়েছিল। তখনকার সময় কারও অন্যায় ইচ্ছা-অভিলাষ পূরণের জন্য এ মামলা হয়েছে। প্রসিকিউশন এ মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এক-এগারোর মঈন ইউ আহমেদের সময় রাজনীতিবিদদের বিভাজিত করার চেষ্টা হয়েছে। মইন ইউ আহমেদ ও মাসুদ উদ্দিন আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দিয়ে একটা এজাহার করালেন। প্রথমে ৬ পরে ৮ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলা করাই হয়েছিল তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। মামলার তার বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষী ছিল না। জনৈক আলমগীর নামে একটা লোককে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে জবানবন্দি দিয়েছিল। সেখানে তারেক রহমানের নামোল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে এ আলমগীরের আর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। এ মামলায় আদালতে ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। সেখানে তারেক রহমানের ব্যাপারে তারা একটা শব্দও বলেনি।
তিনি আরও বলেন, এ মামলার মাধ্যমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে সকল মামলা শেষ হয়েছে। তার আর কোনও মামলা নেই।
বিএনপির আইনজীবী বোরহান উদ্দিন জানান, আসামিদের বিপক্ষে কোনও সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি দুদক। তার বিরুদ্ধে দেশে আর কোনও মামলা নেই। ফলে ওনার দেশে ফিরে রাজনীতি করতে আর কোনও বাধা নেই।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির খুন হলে একটি হত্যা মামলা হয়। ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম রাজধানীর রমনা থানায় একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। তবে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল তারেকসহ আট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সব মামলায় খালাস তারেক রহমান, দেশে ফিরতে বাধা নেই

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

বসুন্ধরা গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির হত্যায় দায়মুক্তি জন্য ঘুষ গ্রহণের অপরাধে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এর মাধ্যমে বিচারিক আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ ৩-এর বিচারক আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, তারেক রহমানের সাবেক পিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল।
তারেক রহমানের পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ঢাকার বিশেষ জজ ৩-এর বিচারক বসুন্ধরা গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে তিনি বলেছেন, এটি একটি হোপলেস মামলা। অন্যায়ভাবে এ মামলা সাজানো হয়েছিল। তখনকার সময় কারও অন্যায় ইচ্ছা-অভিলাষ পূরণের জন্য এ মামলা হয়েছে। প্রসিকিউশন এ মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এক-এগারোর মঈন ইউ আহমেদের সময় রাজনীতিবিদদের বিভাজিত করার চেষ্টা হয়েছে। মইন ইউ আহমেদ ও মাসুদ উদ্দিন আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দিয়ে একটা এজাহার করালেন। প্রথমে ৬ পরে ৮ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলা করাই হয়েছিল তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। মামলার তার বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষী ছিল না। জনৈক আলমগীর নামে একটা লোককে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে জবানবন্দি দিয়েছিল। সেখানে তারেক রহমানের নামোল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে এ আলমগীরের আর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। এ মামলায় আদালতে ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। সেখানে তারেক রহমানের ব্যাপারে তারা একটা শব্দও বলেনি।
তিনি আরও বলেন, এ মামলার মাধ্যমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে সকল মামলা শেষ হয়েছে। তার আর কোনও মামলা নেই।
বিএনপির আইনজীবী বোরহান উদ্দিন জানান, আসামিদের বিপক্ষে কোনও সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি দুদক। তার বিরুদ্ধে দেশে আর কোনও মামলা নেই। ফলে ওনার দেশে ফিরে রাজনীতি করতে আর কোনও বাধা নেই।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির খুন হলে একটি হত্যা মামলা হয়। ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম রাজধানীর রমনা থানায় একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। তবে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল তারেকসহ আট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।