ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে কাকরদিয়া–তেরাদল–আলিপুর এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের আত্নপ্রকাশ

সংবিধানকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে : ড. কামাল হোসেন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / 271

বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংবিধানকে বিতর্কিত না করা এবং এ নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, “সংবিধানের মূলনীতি থেকে আমরা সরে যাচ্ছি।”

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, “সংবিধানকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। কিন্তু আমরা এখন সংবিধানের মূলনীতি থেকে সরে যাচ্ছি। দেশ শাসনের ক্ষেত্রে সংবিধানকে পাশ কাটানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই প্রবণতা থেকে আমাদের অবশ্যই সরে আসতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আসুন, আমরা সংবিধানকে নিয়ে কোনো বিতর্ক তৈরি করব না। বিশেষ করে মৌলিক বিষয়গুলোকে বিতর্কিত হতে দেব না। তাহলেই দেশে গণতন্ত্র টিকে থাকবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষ মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারবে। এ বিষয়ে আপস করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”

সমষ্টিগতভাবে সমাজ ও শাসনব্যবস্থা আজ সংকটে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর মূল কারণ হলো সংবিধানের মূলনীতিকে পাশ কাটিয়ে দেশ পরিচালনার চেষ্টা। আমরা যদি দেশে সুশাসন ও সাংবিধানিক শাসন চাই, তবে সংবিধানের মূলনীতি অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে এবং শ্রদ্ধা করতে হবে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যত কঠিনই হোক, এখান থেকে আমরা যেন সরে না যাই, কোনো আপস না করি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দায়িত্ব পালনে আমরা করণীয় কাজগুলো করছি না। আইনজীবীরা নিজেরাও বিভক্ত হয়ে সংবিধানের মূলনীতিকে নানা ব্যাখ্যায় কার্যকর হতে দিচ্ছেন না। দেশ যে সংকটে আছে, এর মূল কারণ এটিই।”

গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি বলেন, “এখন আমাদের দেখতে হবে, কোন কোন ক্ষেত্রে সংবিধান মানা হচ্ছে না। যাদের মানার কথা, তারা যেন মানেন—সে ব্যবস্থা করতে হবে। না মানলে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। কারণ তারা শপথ নিয়েছেন সংবিধান অক্ষরে অক্ষরে পালন করার। শপথ ভঙ্গ করলে সংবিধানও থাকে না, তার শাসনও থাকে না, সুশাসনও প্রতিষ্ঠিত হয় না।”

তিনি আরও যোগ করেন, “দেশে সুশাসন ও সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। আইনজীবীদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু মৌলিক বিষয় এবং সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে ভিন্নমত চলতে পারে না। এখানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি ও গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংবিধানকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে : ড. কামাল হোসেন

আপডেট সময় : ০১:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

সংবিধানকে বিতর্কিত না করা এবং এ নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, “সংবিধানের মূলনীতি থেকে আমরা সরে যাচ্ছি।”

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, “সংবিধানকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। কিন্তু আমরা এখন সংবিধানের মূলনীতি থেকে সরে যাচ্ছি। দেশ শাসনের ক্ষেত্রে সংবিধানকে পাশ কাটানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই প্রবণতা থেকে আমাদের অবশ্যই সরে আসতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আসুন, আমরা সংবিধানকে নিয়ে কোনো বিতর্ক তৈরি করব না। বিশেষ করে মৌলিক বিষয়গুলোকে বিতর্কিত হতে দেব না। তাহলেই দেশে গণতন্ত্র টিকে থাকবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষ মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারবে। এ বিষয়ে আপস করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”

সমষ্টিগতভাবে সমাজ ও শাসনব্যবস্থা আজ সংকটে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর মূল কারণ হলো সংবিধানের মূলনীতিকে পাশ কাটিয়ে দেশ পরিচালনার চেষ্টা। আমরা যদি দেশে সুশাসন ও সাংবিধানিক শাসন চাই, তবে সংবিধানের মূলনীতি অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে এবং শ্রদ্ধা করতে হবে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যত কঠিনই হোক, এখান থেকে আমরা যেন সরে না যাই, কোনো আপস না করি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দায়িত্ব পালনে আমরা করণীয় কাজগুলো করছি না। আইনজীবীরা নিজেরাও বিভক্ত হয়ে সংবিধানের মূলনীতিকে নানা ব্যাখ্যায় কার্যকর হতে দিচ্ছেন না। দেশ যে সংকটে আছে, এর মূল কারণ এটিই।”

গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি বলেন, “এখন আমাদের দেখতে হবে, কোন কোন ক্ষেত্রে সংবিধান মানা হচ্ছে না। যাদের মানার কথা, তারা যেন মানেন—সে ব্যবস্থা করতে হবে। না মানলে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। কারণ তারা শপথ নিয়েছেন সংবিধান অক্ষরে অক্ষরে পালন করার। শপথ ভঙ্গ করলে সংবিধানও থাকে না, তার শাসনও থাকে না, সুশাসনও প্রতিষ্ঠিত হয় না।”

তিনি আরও যোগ করেন, “দেশে সুশাসন ও সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। আইনজীবীদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু মৌলিক বিষয় এবং সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে ভিন্নমত চলতে পারে না। এখানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি ও গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।