ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী! কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে

শাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) কবর থেকে সুগন্ধি ছড়াচ্ছে !

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 1100
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটের কানাইঘাট দারুল উলূম মাদ্রাসার আলেম ও রাজনীতিবিদ মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) কবর থেকে সুগন্ধি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করছেন তার অনুসারীরা। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ভিড় করতে শুরু করে মানুষ। দূর-দুরান্ত থেকে আসা অনেকে জানিয়েছেন, কবর থেকে সুগন্ধি আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলা সদরে অবস্থিত দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) কবর রয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মারা যান। সেই হিসেবে তার মৃত্যুর ৫০ বছর পেরিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আরও তিনবার তার কবর থেকে সুগন্ধ বেরিয়েছে। এটি অলৌকিক ঘটনা বলেও মনে করেন এলাকার জনসাধারণ।

মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলী বলেন, ‘বুধবার মাগরিবের নামাজের পর ছাত্ররা কবর জিয়ারতে গেলে সুগন্ধ অনুভব করেন। পরে তারা আমাদের খবর দিলে আমরাও তার বাস্তব প্রমাণ পাই,আজ শুক্রবার অনেক লোক দেশের দূরদুরান্ত থেকে কবর জিয়ারতে আসতে দেখা যায়।’

এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো এ আলেমের কবর থেকে সুগন্ধ বের হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর দিন দাফনের পর একবার, দাফনের তিনমাস পর একবার এবং ২০১২ সালে একবার কবর থেকে সুগন্ধ বের হয়।। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।’

প্রসঙ্গত, আল্লামা মুশাহিদ আহমদ বায়ামপুরী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আলেম, রাজনীতিক, সমাজ সংস্কারক ও লেখক ছিলেন। হাদিস বিশারদ হিসেবে উপমহাদেশে তার ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। সিলেটের কানাইঘাট দারুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস ছিলেন। তিনি সিলেট সরকারি আলিয়াসহ ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৬২ সালে তিনি পাকিস্তানের মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি (এমএনএ) নির্বাচিত হন। আরবি, বাংলা ও উর্দু ভাষায় তার মূল্যবান বেশ কিছু গ্রন্থ রয়েছে। দারুল উলূম দেওবন্দে রেকর্ডসংখ্যক নাম্বার পেয়ে তিনি কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) কবর থেকে সুগন্ধি ছড়াচ্ছে !

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিলেটের কানাইঘাট দারুল উলূম মাদ্রাসার আলেম ও রাজনীতিবিদ মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) কবর থেকে সুগন্ধি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করছেন তার অনুসারীরা। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ভিড় করতে শুরু করে মানুষ। দূর-দুরান্ত থেকে আসা অনেকে জানিয়েছেন, কবর থেকে সুগন্ধি আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলা সদরে অবস্থিত দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) কবর রয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মারা যান। সেই হিসেবে তার মৃত্যুর ৫০ বছর পেরিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আরও তিনবার তার কবর থেকে সুগন্ধ বেরিয়েছে। এটি অলৌকিক ঘটনা বলেও মনে করেন এলাকার জনসাধারণ।

মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলী বলেন, ‘বুধবার মাগরিবের নামাজের পর ছাত্ররা কবর জিয়ারতে গেলে সুগন্ধ অনুভব করেন। পরে তারা আমাদের খবর দিলে আমরাও তার বাস্তব প্রমাণ পাই,আজ শুক্রবার অনেক লোক দেশের দূরদুরান্ত থেকে কবর জিয়ারতে আসতে দেখা যায়।’

এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো এ আলেমের কবর থেকে সুগন্ধ বের হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর দিন দাফনের পর একবার, দাফনের তিনমাস পর একবার এবং ২০১২ সালে একবার কবর থেকে সুগন্ধ বের হয়।। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।’

প্রসঙ্গত, আল্লামা মুশাহিদ আহমদ বায়ামপুরী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আলেম, রাজনীতিক, সমাজ সংস্কারক ও লেখক ছিলেন। হাদিস বিশারদ হিসেবে উপমহাদেশে তার ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। সিলেটের কানাইঘাট দারুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস ছিলেন। তিনি সিলেট সরকারি আলিয়াসহ ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৬২ সালে তিনি পাকিস্তানের মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি (এমএনএ) নির্বাচিত হন। আরবি, বাংলা ও উর্দু ভাষায় তার মূল্যবান বেশ কিছু গ্রন্থ রয়েছে। দারুল উলূম দেওবন্দে রেকর্ডসংখ্যক নাম্বার পেয়ে তিনি কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন।