রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান রেখে আইন সংশোধন, উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন
- আপডেট সময় : ১১:৪৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / 239

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সুযোগ রেখে আইনে আনা সংশোধনী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক।
সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৯তম অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই উদ্বেগ জানান।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, “রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ রেখে সম্প্রতি যে আইনি পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এ-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার ওপর অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করবে।”
তবে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের মাধ্যমে কিছু অগ্রগতির ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
তার ভাষ্য, “আমি অর্থবহ সংস্কারের মাধ্যমে অগ্রগতির আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে একটি অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।”
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের ১২ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির সব কার্যক্রম বিচার প্রক্রিয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ফলকার তুর্ক তার বক্তব্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে সৃষ্ট বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব নিয়েও মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “বিশ্বের বহু দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরও পেছনে পড়ে যাচ্ছে। তাদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও উপযুক্ত জীবনমান এখন হুমকির মুখে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর অর্ধেকের বেশি এখন ঋণসঙ্কটে বা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে সুনামির মতো আঘাত হানবে। বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের মতো রপ্তানিনির্ভর দেশগুলোর ওপর এটি মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। উচ্চ শুল্কের কারণে অনেকেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত হবে।”


















