ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

মালিতে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০
  • / 1043
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিদ্রোহী সেনাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা এবং প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসে। একদল জুনিয়র সেনা কর্মকর্তার হাতে তারা এখন বন্দী। সরকারি এক মুখপাত্রের বরাতে মঙ্গলবারের অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ‘ভ্রাতৃসুলভ আলোচনার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে দেশটির রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে গুলি ছোড়ার মধ্য দিয়ে এই অভ্যুত্থানের শুরু হয়।

এদিকে রাজধানীতে বিদ্রোহী তরুণরা সরকারি ভবনে আগুন দিয়েছেন। কয়েক ঘণ্টা আগে সামরিক বাহিনীর অসন্তুষ্ট জুনিয়র অফিসাররা ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের আটক করেন। পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ইকোওয়াস এবং দেশটির সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স এর নিন্দা জানিয়েছে।

মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা

প্রেসিডেন্ট কিয়েতার পদত্যাগ দাবিতে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী অফিসাররা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে নিজেদের জিম্মায় নিলেন। তবে অভ্যুত্থানে কতজন সেনাসদস্য অংশ নিয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিদ্রোহী সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অঞ্চলটির দেশগুলোর জোট দ্য ইকোনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)।

২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন কেইতা। তবে দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি ছাড়াও জিহাদি হামলা ও জাতিগত সহিংসতার মতো ঘটনাগুলোর কারণে ব্যাপক জনরোষের মুখে দেশজুড়ে সরকার পতনের আন্দোলন জোরালো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মালিতে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০

বিদ্রোহী সেনাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা এবং প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসে। একদল জুনিয়র সেনা কর্মকর্তার হাতে তারা এখন বন্দী। সরকারি এক মুখপাত্রের বরাতে মঙ্গলবারের অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ‘ভ্রাতৃসুলভ আলোচনার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে দেশটির রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে গুলি ছোড়ার মধ্য দিয়ে এই অভ্যুত্থানের শুরু হয়।

এদিকে রাজধানীতে বিদ্রোহী তরুণরা সরকারি ভবনে আগুন দিয়েছেন। কয়েক ঘণ্টা আগে সামরিক বাহিনীর অসন্তুষ্ট জুনিয়র অফিসাররা ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের আটক করেন। পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ইকোওয়াস এবং দেশটির সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স এর নিন্দা জানিয়েছে।

মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা

প্রেসিডেন্ট কিয়েতার পদত্যাগ দাবিতে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী অফিসাররা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে নিজেদের জিম্মায় নিলেন। তবে অভ্যুত্থানে কতজন সেনাসদস্য অংশ নিয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিদ্রোহী সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অঞ্চলটির দেশগুলোর জোট দ্য ইকোনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)।

২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন কেইতা। তবে দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি ছাড়াও জিহাদি হামলা ও জাতিগত সহিংসতার মতো ঘটনাগুলোর কারণে ব্যাপক জনরোষের মুখে দেশজুড়ে সরকার পতনের আন্দোলন জোরালো হয়।