ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না

মশা মারা শিখতে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যাবেন কর্মকর্তারা

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / 1702
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধনের জন্য ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি এবং ৪০ হাজার কীটনাশক কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি। আগামী এক মাসের মধ্যে এসব জিনিস কেনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এ-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে দ্রুততম সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি হস্তচালিত মেশিন এবং ৪০ হাজার লিটার কীটনাশক স্থানীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বাজার দরে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারা বাইরে থেকে এগুলো নিয়ে আসবে। এ বাবদ ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এক মাসের মধ্যে এসব যন্ত্রপাতি ও কীটনাশক দেশে আসবে।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দেশের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষার জন্য সরকার ঘরে ঘরে যাচ্ছে। প্রথম দিকে কিছু ‘মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর সমন্বিত কাজ শুরু হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এসব ক্রয়ের জন্য টেন্ডার করলে অনেক সময় লাগবে। জাতির কথা বিবেচনা করে এ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মশা নিধনে সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা কয়েকটি দেশ সফর করেছে। তারা পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর যাবে। সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প আছে, মশাকে অ্যাট্রাক্ট (আকৃষ্ট) করে তারা একত্রে মারে। তারা গর্ত করে সব মশা আকৃষ্ট করে সেখানে আনে, তখন সব মশা একসঙ্গে মারা হয়। আমাদের আগে মশা তাড়ানো হতো, তাই লাভ বেশি হয়নি। আমরা দেখছি মোটামুটি পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি থেকে এসব ক্রয় সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব পাইনি। উত্তর সিটি যেহেতু কিনছে, দক্ষিণও হয়তো কিনবে। মশা মারার এ কার্যক্রম সারা বছর চলবে।

তিনি আরও বলেন, শীত বেশি হলে মশা এত থাকবে না। যেখানেই পানি জমবে সেখানে মশা হবে। তাই পানি যেন জমতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। বড় বড় নদীতে স্রোত থাকায় সমস্যা হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মশা মারা শিখতে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যাবেন কর্মকর্তারা

আপডেট সময় : ০৬:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধনের জন্য ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি এবং ৪০ হাজার কীটনাশক কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি। আগামী এক মাসের মধ্যে এসব জিনিস কেনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এ-সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে দ্রুততম সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি হস্তচালিত মেশিন এবং ৪০ হাজার লিটার কীটনাশক স্থানীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বাজার দরে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারা বাইরে থেকে এগুলো নিয়ে আসবে। এ বাবদ ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এক মাসের মধ্যে এসব যন্ত্রপাতি ও কীটনাশক দেশে আসবে।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া দেশের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষার জন্য সরকার ঘরে ঘরে যাচ্ছে। প্রথম দিকে কিছু ‘মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর সমন্বিত কাজ শুরু হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এসব ক্রয়ের জন্য টেন্ডার করলে অনেক সময় লাগবে। জাতির কথা বিবেচনা করে এ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মশা নিধনে সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প কাজে লাগানোর কথা জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা কয়েকটি দেশ সফর করেছে। তারা পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর যাবে। সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প আছে, মশাকে অ্যাট্রাক্ট (আকৃষ্ট) করে তারা একত্রে মারে। তারা গর্ত করে সব মশা আকৃষ্ট করে সেখানে আনে, তখন সব মশা একসঙ্গে মারা হয়। আমাদের আগে মশা তাড়ানো হতো, তাই লাভ বেশি হয়নি। আমরা দেখছি মোটামুটি পরিবর্তন আসছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি থেকে এসব ক্রয় সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব পাইনি। উত্তর সিটি যেহেতু কিনছে, দক্ষিণও হয়তো কিনবে। মশা মারার এ কার্যক্রম সারা বছর চলবে।

তিনি আরও বলেন, শীত বেশি হলে মশা এত থাকবে না। যেখানেই পানি জমবে সেখানে মশা হবে। তাই পানি যেন জমতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। বড় বড় নদীতে স্রোত থাকায় সমস্যা হবে না।