ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন, ৭১-এর ভূমিকায় ক্ষমা চাইতে বলে জামায়াত ছেড়েছিলেন

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 505
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কয়েকদফা জানাজা ও আইন অঙ্গনের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা শেষে রাজধানীর আজিমপুর গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকে। তিনি গত রবিবার (৪ মে ২০২৫) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন এবং মৃত্যুর সময় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার জন্য রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করতেন। এ জন্য দলের কাছে খোলা চিঠি দিয়ে দল ছেড়েছিলেন তিনি।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি লন্ডনে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে দেশে ফিরে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে স্বীকৃতি পান। ২০০২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন ।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার দুই ছেলেই ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের প্রথম নামাজে জানাজা রবিবার বাদ এশা (৮.৩০টা) ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী এই জানাজার নামাজ পড়ান। এরপর বাদ যোহর বায়তুল মোকাররমে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে সোমবার (৫ মে ২০২৫) অর্ধদিবস বন্ধ ছিল সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজ।

৭১-এর ভূমিকায় ক্ষমা চাইতে বলে জামায়াত ছেড়েছিলেন রাজ্জাক

জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী কাউসার হামিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাজ্য থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে দলের আমির মকবুল আহমদের কাছে আব্দুর রাজ্জাক তার পদত্যাগপত্র পাঠান। ব্যারিস্টার রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক জামায়াত থেকে তার বাবার পদত্যাগের ঘটনা সত্য বলে জানান।

পদত্যাগের পেছনে আব্দুর রাজ্জাক মূলত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দলটির ভূমিকাকেই তুলে ধরেন। ব্যারিস্টার রাজ্জাক তার পদত্যাগপত্রে জানান, গত প্রায় দুই দশক তিনি জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে ৭১-এ দলের ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত এবং ওই সময়ে জামায়াতের ভূমিকা ও পাকিস্তান সমর্থনের কারণ উল্লেখ করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

পদত্যাগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের আওতায় ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক দল গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি, কিন্তু সে দাবি অনুযায়ী জামায়াত নিজেকে এখন পর্যন্ত সংস্কার করতে পারেনি।

চিঠিতে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, “স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজও দলের নেতৃবৃন্দ ৭১-এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে পারেনি।

এমনকি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে দলের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেনি। ”

তিনি বলেন, “অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতের ক্ষতিকর ভূমিকা সম্পর্কে ভুল স্বীকার করে জাতির সাথে সে সময়ের নেতাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে পরিষ্কার অবস্থান নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। ”

মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং নতুন নামে দল গঠন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার প্রস্তাব সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে জামায়াতে ইসলামীতে। দলটির নেতৃত্বের একটা অংশ এ ধরনের প্রস্তাবের পক্ষে। এই অংশ একাত্তরের ভুল স্বীকার করে বর্তমান নামে দলকে সচল রাখতে অথবা নতুন নামে দল গঠন করতে চায়।গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য সম্প্রতি দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি সভা হয়। দলের তরুণ নেতৃত্বের দাবির মুখে সভায় একাত্তরের ভুল রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং জামায়াত নামক দল বিলুপ্ত করে সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে দলকে নিয়োজিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা মজলিশে শুরায় অনুমোদন পায়নি। সেখানে ২০-দলীয় জোটে আর না থাকা ও কোনো পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রায় সবাই একমত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন, ৭১-এর ভূমিকায় ক্ষমা চাইতে বলে জামায়াত ছেড়েছিলেন

আপডেট সময় : ০২:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

কয়েকদফা জানাজা ও আইন অঙ্গনের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা শেষে রাজধানীর আজিমপুর গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকে। তিনি গত রবিবার (৪ মে ২০২৫) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন এবং মৃত্যুর সময় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতার জন্য রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করতেন। এ জন্য দলের কাছে খোলা চিঠি দিয়ে দল ছেড়েছিলেন তিনি।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি লন্ডনে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে দেশে ফিরে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে স্বীকৃতি পান। ২০০২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন ।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার দুই ছেলেই ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের প্রথম নামাজে জানাজা রবিবার বাদ এশা (৮.৩০টা) ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী এই জানাজার নামাজ পড়ান। এরপর বাদ যোহর বায়তুল মোকাররমে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে সোমবার (৫ মে ২০২৫) অর্ধদিবস বন্ধ ছিল সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজ।

৭১-এর ভূমিকায় ক্ষমা চাইতে বলে জামায়াত ছেড়েছিলেন রাজ্জাক

জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী কাউসার হামিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাজ্য থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে দলের আমির মকবুল আহমদের কাছে আব্দুর রাজ্জাক তার পদত্যাগপত্র পাঠান। ব্যারিস্টার রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক জামায়াত থেকে তার বাবার পদত্যাগের ঘটনা সত্য বলে জানান।

পদত্যাগের পেছনে আব্দুর রাজ্জাক মূলত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দলটির ভূমিকাকেই তুলে ধরেন। ব্যারিস্টার রাজ্জাক তার পদত্যাগপত্রে জানান, গত প্রায় দুই দশক তিনি জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে ৭১-এ দলের ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত এবং ওই সময়ে জামায়াতের ভূমিকা ও পাকিস্তান সমর্থনের কারণ উল্লেখ করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

পদত্যাগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের আওতায় ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক দল গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি, কিন্তু সে দাবি অনুযায়ী জামায়াত নিজেকে এখন পর্যন্ত সংস্কার করতে পারেনি।

চিঠিতে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, “স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজও দলের নেতৃবৃন্দ ৭১-এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইতে পারেনি।

এমনকি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রসঙ্গে দলের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেনি। ”

তিনি বলেন, “অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামায়াতের ক্ষতিকর ভূমিকা সম্পর্কে ভুল স্বীকার করে জাতির সাথে সে সময়ের নেতাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে পরিষ্কার অবস্থান নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। ”

মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং নতুন নামে দল গঠন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার প্রস্তাব সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে জামায়াতে ইসলামীতে। দলটির নেতৃত্বের একটা অংশ এ ধরনের প্রস্তাবের পক্ষে। এই অংশ একাত্তরের ভুল স্বীকার করে বর্তমান নামে দলকে সচল রাখতে অথবা নতুন নামে দল গঠন করতে চায়।গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য সম্প্রতি দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি সভা হয়। দলের তরুণ নেতৃত্বের দাবির মুখে সভায় একাত্তরের ভুল রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং জামায়াত নামক দল বিলুপ্ত করে সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে দলকে নিয়োজিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা মজলিশে শুরায় অনুমোদন পায়নি। সেখানে ২০-দলীয় জোটে আর না থাকা ও কোনো পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রায় সবাই একমত হন।