সংবাদ শিরোনাম :
ব্যবসায়ীরা গণতান্ত্রিক সরকার চায়: বিসিআই
৫২ বাংলা
- আপডেট সময় : ১০:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
- / 449

তাই ‘যত দ্রুত সম্ভব’ অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চলে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি ২০২৫) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিসিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, যত শর্ট টার্ম হোক, যত কুইক হোক, অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চলে যাওয়া উচিত। তাতে সবার মধ্যে একটা স্বস্তি আসবে। ব্যবসায়ীরা গণতান্ত্রিক সরকার চায়।”
বিসিআই সভাপতি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো অর্থনীতি নিয়ে চিন্তিত নয়। তারা একে অপরকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করলেও অর্থনীতি নিয়ে কিছু বলছেন না।’’
পোশাক খাতে জেনারেলাইজড স্কিম অফ প্রিফারেন্সেস- জিএসপি ফিরে পেতে সরকার শ্রম আইন বাস্তবায়ন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আইএমএফের প্রেসক্রিপশন মেনে চলছে সরকার, এতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ করে বাকিটা বাস্তবায়নে অন্তবর্তীকালীন সরকার পথনকশা করে দিতে পারে বলে মনে করেন বিসিআই সভাপতি।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক নীতি নিয়েছে; তারল্য সরবরাহ কমিয়েছে। কিন্তু আইএমএফের প্রেসক্রিপশন নিয়ে কিছু জায়গায় প্রস্তুতি নিতে পারি; কমপ্ল্যায়েন্স পূরণ করার জন্য অনেক জায়গায় কাজ করতে পারি। আইএমএফের প্রেসক্রিপশন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে গেলে আমাদের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।’’
আনোয়ারুল আলম বলেন, “সরকার একদিকে সুদহার বাড়িয়ে রেখেছে, অন্যদিকে আছে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি। এতে ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কমবে।”
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের কথা আছে বাংলাদেশের। তবে এই সময়সীমা ২০২৯ সাল পর্যন্ত পেছানো দরকার বলে নিজের পর্যবেক্ষণ দেন তিনি।
বিসিআই সভাপতি বলেন, “গত (আওয়ামী লীগ) সরকার বাহবা নেওয়ার জন্য ফোলানো-ফাঁপানো অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান দিয়ে উত্তরণের পথে হেঁটেছিল। আমরা ব্যবসায়ীরা মনে করছি, এই সময়সীমা পেছানো না হলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধস নামবে।”
বিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, পরিচালক শহিদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার, জাহাঙ্গীর আলম ও খায়ের মিয়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

















