ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু

বিয়ানীবাজারে করোনা আক্রান্ত হলেই স্বেচ্ছাসেবীরা পৌঁছে দিচ্ছে খাবার ও ওষুধ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০
  • / 1106
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেলেই রোগীর পরিবারের সব দায়িত্ব নিচ্ছে একদল তরুণ। দলটি রোগীর পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে খাবার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু। এই মানবিক উদ্যোগ চলছে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়।

উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য এই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের তরুণদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গড়ে তোলা হয়েছে। দলের স্বেচ্ছাসেবীরা এই উদ্যোগের স্লোগান নির্ধারণ করেছেন ‘প্রাণের টানে প্রাণের সনে’। এই উদ্যোগের নেপথ্যে অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন প্রবাসী তরুণরা।

স্বেচ্ছাসেবী দলটির সমন্বয়কারীর দায়িত্বে থাকা আমিনুল ইসলাম তাঁদের উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ‘বিয়ানীবাজারে প্রথম যিনি করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন তিনি ছিলেন অস্থানীয় ব্যক্তি। আমরা দেখলাম কিছু মানুষ তাঁর প্রতি বৈরী আচরণ করছে। এটি দেখার পর আমাদের উপলব্ধির মধ্যে এলো, মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করা দরকার। সেখান থেকেই আমরা বন্ধুরা মিলে এই উদ্যোগ নিয়েছি। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবারের কাউকে যাতে বাইরে না আসতে হয়- তার জন্য সব ধরনের সহায়তা আমরা দেব।’

বিয়ানীবাজারে এখন পর্যন্ত দুইটি গ্রামে করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছে। দুবাগ গ্রামের ৯টি এবং নয়াগ্রামের দুইটি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। এসব পরিবারে প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করছেন এই স্বেচ্ছাসেবীরা। যতদিন প্রয়োজন সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

গত ১ মে দুবাগের ৯ পরিবারে প্রথম সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। সহায়তার মধ্যে ছিল চাল ১০ কেজি, আলু তিন কেজি, পেঁয়াজ দুই কেজি, লবণ এক কেজি, সয়াবিন এক লিটার, রসুন আধা কেজি, গুঁড়া মরিচ ২০০ গ্রাম, গুড়া হলুদ ২০০ গ্রাম এবং গুঁড়া ধনিয়া ২০০ গ্রাম।

দলের স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের নাম ও ফোন নাম্বার দিয়ে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল রবিবার (৩ মে) নয়াগ্রামের দুই পরিবারকে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদেরকে উল্লেখিত খাদ্য ছাড়াও মাছ ও তরকারি দেওয়া হয়েছে। আগে থেকেই তাঁদেরকে স্থানীয় পৌর মেয়র আব্দুস শুকুরের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিয়ানীবাজারে করোনা আক্রান্ত হলেই স্বেচ্ছাসেবীরা পৌঁছে দিচ্ছে খাবার ও ওষুধ

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০

করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেলেই রোগীর পরিবারের সব দায়িত্ব নিচ্ছে একদল তরুণ। দলটি রোগীর পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে খাবার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু। এই মানবিক উদ্যোগ চলছে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়।

উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য এই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের তরুণদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গড়ে তোলা হয়েছে। দলের স্বেচ্ছাসেবীরা এই উদ্যোগের স্লোগান নির্ধারণ করেছেন ‘প্রাণের টানে প্রাণের সনে’। এই উদ্যোগের নেপথ্যে অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন প্রবাসী তরুণরা।

স্বেচ্ছাসেবী দলটির সমন্বয়কারীর দায়িত্বে থাকা আমিনুল ইসলাম তাঁদের উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ‘বিয়ানীবাজারে প্রথম যিনি করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন তিনি ছিলেন অস্থানীয় ব্যক্তি। আমরা দেখলাম কিছু মানুষ তাঁর প্রতি বৈরী আচরণ করছে। এটি দেখার পর আমাদের উপলব্ধির মধ্যে এলো, মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করা দরকার। সেখান থেকেই আমরা বন্ধুরা মিলে এই উদ্যোগ নিয়েছি। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁর পরিবারের কাউকে যাতে বাইরে না আসতে হয়- তার জন্য সব ধরনের সহায়তা আমরা দেব।’

বিয়ানীবাজারে এখন পর্যন্ত দুইটি গ্রামে করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছে। দুবাগ গ্রামের ৯টি এবং নয়াগ্রামের দুইটি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। এসব পরিবারে প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করছেন এই স্বেচ্ছাসেবীরা। যতদিন প্রয়োজন সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

গত ১ মে দুবাগের ৯ পরিবারে প্রথম সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। সহায়তার মধ্যে ছিল চাল ১০ কেজি, আলু তিন কেজি, পেঁয়াজ দুই কেজি, লবণ এক কেজি, সয়াবিন এক লিটার, রসুন আধা কেজি, গুঁড়া মরিচ ২০০ গ্রাম, গুড়া হলুদ ২০০ গ্রাম এবং গুঁড়া ধনিয়া ২০০ গ্রাম।

দলের স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের নাম ও ফোন নাম্বার দিয়ে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল রবিবার (৩ মে) নয়াগ্রামের দুই পরিবারকে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদেরকে উল্লেখিত খাদ্য ছাড়াও মাছ ও তরকারি দেওয়া হয়েছে। আগে থেকেই তাঁদেরকে স্থানীয় পৌর মেয়র আব্দুস শুকুরের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল।