ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইউনূস যদি চান, সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে আনিস আলমগীর সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত চক্র ‘বিজয়ের নতুন ইতিহাস’ রচনার অপচেষ্টায়: তারেক রহমান আটকের ১৯ ঘণ্টা পর সাংবাদিক আনিস আলমগীর গ্রেফতার; ‘বাকস্বাধীনতাটা কোথায় গেল’ প্রশ্ন শাওনের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ

বান্দরবানে বরখাস্ত, বিস্ময়কর পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রামে বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০
  • / 1381
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাকরী থেকে বরখাস্ত হয়েও একজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দুটো চাকরী করছেন একজন কর্মকর্তা। তিনি হলেন উপজাতি নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত বান্দরবানের জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়া। অথচ তিনি বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন অফিসে। বিস্ময়করভাবে একের পর এক পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক।

এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে নেন তিনি একাই। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন’র (পিএসসি) অনুমোদন ছাড়াই ড্রয়িং ডিস্বার্সিং (আয়ন-ব্যায়ন) অফিসার পদ ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নিজের স্বাক্ষরে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গকি অর্থ উত্তোলন করেন প্রায় দু’বছর ধরে। শুধু তাই নয়! কক্সবাজার ও বান্দরবানের স্থায়ী ঠিকানা জালিয়াতির মাধ্যমে একই সংস্থায় দুইটি চাকরি নেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পরের নিয়োগটিতে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে পদোন্নতি বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন সুজন বড়ুয়া।

সুজন বড়ুয়া’র ক্ষমতার এতই প্রভাব যে, ভয়ে তার এসব অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সব কিছুই জানা আছে, এমনটা জানিয়ে সুজন বড়ুয়া’র জাল-জালিয়াতি প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি’সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

এদিকে সুজন বড়ুয়া দীর্ঘ ৮ বছর সরকারি চাকরি করার পর আগের স্থায়ী ঠিকানা ও তথ্য গোপন করে জালিয়াতি করে একই সংস্থায় ফের আরেকটি উচ্চপদে চাকরি এবং তিন পদোন্নতির নেয়ার অভিযোগ দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরই এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে র্দুনীতি দমন কমিশন। গত দুই বছর আগে দুদক’র দেয়া এই চিঠি পেয়েও রহস্যজনক কারণে সুজন বড়ুয়া এসব অভিযোগ মাঠ পর্যায়ে তদন্ত না করেই পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

র্দুনীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রাঙামাটি-বান্দরবান দু’পার্বত্য জেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান বরাবরে বিভিন্ন সময় সুজন বড়ুয়ার জাল-জালিয়াতি অনিয়ম ও যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব অভিযোগ তদন্ত না করেই অভিযোগের মাধ্যমে অনিয়ম ও জাল-জালিয়াতির প্রকাশ করে দেয়ার অভিযোগে উল্টো অভিযোগকারীদেরকে বিভিন্ন সময় শাস্তি প্রদান করে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সূত্র:ভোরের কাগজ

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বান্দরবানে বরখাস্ত, বিস্ময়কর পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রামে বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০

চাকরী থেকে বরখাস্ত হয়েও একজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দুটো চাকরী করছেন একজন কর্মকর্তা। তিনি হলেন উপজাতি নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত বান্দরবানের জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়া। অথচ তিনি বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন অফিসে। বিস্ময়করভাবে একের পর এক পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক।

এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে নেন তিনি একাই। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন’র (পিএসসি) অনুমোদন ছাড়াই ড্রয়িং ডিস্বার্সিং (আয়ন-ব্যায়ন) অফিসার পদ ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নিজের স্বাক্ষরে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গকি অর্থ উত্তোলন করেন প্রায় দু’বছর ধরে। শুধু তাই নয়! কক্সবাজার ও বান্দরবানের স্থায়ী ঠিকানা জালিয়াতির মাধ্যমে একই সংস্থায় দুইটি চাকরি নেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পরের নিয়োগটিতে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে পদোন্নতি বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন সুজন বড়ুয়া।

সুজন বড়ুয়া’র ক্ষমতার এতই প্রভাব যে, ভয়ে তার এসব অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সব কিছুই জানা আছে, এমনটা জানিয়ে সুজন বড়ুয়া’র জাল-জালিয়াতি প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি’সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

এদিকে সুজন বড়ুয়া দীর্ঘ ৮ বছর সরকারি চাকরি করার পর আগের স্থায়ী ঠিকানা ও তথ্য গোপন করে জালিয়াতি করে একই সংস্থায় ফের আরেকটি উচ্চপদে চাকরি এবং তিন পদোন্নতির নেয়ার অভিযোগ দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরই এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে র্দুনীতি দমন কমিশন। গত দুই বছর আগে দুদক’র দেয়া এই চিঠি পেয়েও রহস্যজনক কারণে সুজন বড়ুয়া এসব অভিযোগ মাঠ পর্যায়ে তদন্ত না করেই পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

র্দুনীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রাঙামাটি-বান্দরবান দু’পার্বত্য জেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান বরাবরে বিভিন্ন সময় সুজন বড়ুয়ার জাল-জালিয়াতি অনিয়ম ও যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব অভিযোগ তদন্ত না করেই অভিযোগের মাধ্যমে অনিয়ম ও জাল-জালিয়াতির প্রকাশ করে দেয়ার অভিযোগে উল্টো অভিযোগকারীদেরকে বিভিন্ন সময় শাস্তি প্রদান করে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সূত্র:ভোরের কাগজ