ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না

বহু আলোচিত আইসিস পত্নি শামিমা ফিরে আসতে পারবেন ব্রিটেনে

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০
  • / 1088
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে পূর্ব লন্ডন ছেড়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শামীমা বেগমকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের বিপক্ষে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ দিতে তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার এই অনুমতি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে বলেছে, আদালতের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারক আইএসের ডেরায় পাড়ি জমানো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ২০ বছর বয়সী শামীমা বেগমকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দিয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করায় এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ দিতে তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই বান্ধবীকে নিয়ে পূর্ব লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসের ডেরায় যান শামীমা বেগম। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে তাকে দেখা যায়। সেই সময় ৯ মাসের গর্ভবর্তী ছিলেন তিনি। আইএস-পত্নী হিসেবে সিরিয়ায় তিন বছরের বেশি সময় কাটান তিনি।

গত বছর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন।

এদিকে, ব্রিটেনের ওই আদালত দেশটির স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিলস কমিশনের (এসআইএসি) একটি আদেশও আংশিক খারিজ করেছে। এসআইএসির আদেশে বলা হয়েছিল, শামীমা বেগমকে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রহীন করা হয়নি। কারণ তিনি সিরিয়ায় ছিলেন এবং বাংলাদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে তার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শামীমা বেগম দাবি করেছিলেন, আইএসশাসিত সিরীয় ভূখণ্ডে তিনি একজন স্ত্রী হিসেবে তিন বছর কাটিয়েছেন। সিরিয়ায় পৌঁছানোর মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে নেদারল্যান্ডস বংশোদ্ভূত আইএসযোদ্ধা ইয়াগো রিদিককে বিয়ে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে স্বামীকে নিয়ে রাক্কা ছাড়েন। তবে তার এক বছর বয়সী মেয়ে এবং তিন মাস বয়সী ছেলে সেখানে থাকাকালীন মারা যায়। গত বছর তার তৃতীয় সন্তান জন্মের পরপরই মারা যায়।

ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকত্ব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শামীমা বেগম।

বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের আদালত শামীমা বেগমকে দেশটিতে ফেরার অনুমতি দেয়ার পর বরিস জনসন নেতৃত্বাধীন সরকার বলেছে, তারা আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপিল এবং রায় স্থগিতের আবেদন করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বহু আলোচিত আইসিস পত্নি শামিমা ফিরে আসতে পারবেন ব্রিটেনে

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে পূর্ব লন্ডন ছেড়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শামীমা বেগমকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের বিপক্ষে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ দিতে তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার এই অনুমতি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে বলেছে, আদালতের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারক আইএসের ডেরায় পাড়ি জমানো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ২০ বছর বয়সী শামীমা বেগমকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দিয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করায় এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ দিতে তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই বান্ধবীকে নিয়ে পূর্ব লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসের ডেরায় যান শামীমা বেগম। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে তাকে দেখা যায়। সেই সময় ৯ মাসের গর্ভবর্তী ছিলেন তিনি। আইএস-পত্নী হিসেবে সিরিয়ায় তিন বছরের বেশি সময় কাটান তিনি।

গত বছর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন।

এদিকে, ব্রিটেনের ওই আদালত দেশটির স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিলস কমিশনের (এসআইএসি) একটি আদেশও আংশিক খারিজ করেছে। এসআইএসির আদেশে বলা হয়েছিল, শামীমা বেগমকে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রহীন করা হয়নি। কারণ তিনি সিরিয়ায় ছিলেন এবং বাংলাদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে তার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শামীমা বেগম দাবি করেছিলেন, আইএসশাসিত সিরীয় ভূখণ্ডে তিনি একজন স্ত্রী হিসেবে তিন বছর কাটিয়েছেন। সিরিয়ায় পৌঁছানোর মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে নেদারল্যান্ডস বংশোদ্ভূত আইএসযোদ্ধা ইয়াগো রিদিককে বিয়ে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে স্বামীকে নিয়ে রাক্কা ছাড়েন। তবে তার এক বছর বয়সী মেয়ে এবং তিন মাস বয়সী ছেলে সেখানে থাকাকালীন মারা যায়। গত বছর তার তৃতীয় সন্তান জন্মের পরপরই মারা যায়।

ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকত্ব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শামীমা বেগম।

বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের আদালত শামীমা বেগমকে দেশটিতে ফেরার অনুমতি দেয়ার পর বরিস জনসন নেতৃত্বাধীন সরকার বলেছে, তারা আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপিল এবং রায় স্থগিতের আবেদন করবেন।