বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল
আয়োজক পর্তুগালের লিসবন বাংলাদেশ দূতাবাস
- আপডেট সময় : ০৫:৫১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
- / 1176
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম ও জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করেছে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
৭আগস্ট, শুক্রবার বিকেলে দূতাবাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় ।পরে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী ।এর পর ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান পর্তুগাল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ।
এরপর দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজীর সঞ্চালনায় এবং দূতাবাস এর রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা পর্ব শুরু হয় ।স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জহিরুল আলম জসিম ।
কামালের কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী। রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, শহীদ শেখ কামাল বাংলাদেশের এক অনন্য ক্রীড়া সংগঠক, যিনি আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলে রীতিমত বিপ্লব সৃষ্টি করেছিলেন। দূরদর্শিতা আর আধুনিকতার অপূর্ব সমন্বয়ে ফুটবলে তিনি রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন গোটা উপমহাদেশে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক। সংস্কৃতিমনা এই মানুষটি ছায়ানটে সেতার বাজাতেন,গান গাইতেন, ক্রিকেট খেলতেন। তিনি ছিলেন সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল,অসাধারণ মানুষ।তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামাল বেঁচে থাকলে হয়তো বর্তমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতেন, গড়ে তুলতেন আধুনিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ।
স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জহিরুল আলম জসিম ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক রেজাউল বাসিত, দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসাইন, আওয়ামী লীগ নেতা তানভীর আলম জনি, এডভোকেট হাবিবুর রহমান, জামাল উদ্দিন, সানজিদা মুনা,
জহিরুল আলম জসিম তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারের সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শেখ কামালকেও আমরা হারিয়েছি। শেখ কামালের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে একজন ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়াবিদ, সংস্কৃতিমনা প্রচণ্ড সম্ভাবনাময় মানুষকে হারিয়েছে। শেখ কামালের দূরদর্শিতা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অতুলনীয় অবদান, সাংগঠনিক নেতৃত্ব এবং তার স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার নানা বিষয় তুলে ধরেন।
দূতাবাস কর্তৃক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শেখ কামালের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের ওপর নির্মিত দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
স্মরণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাওসার আহমেদ, আব্দুল্লাহ মামুন ,ছাত্র লীগ নেতা রিয়াদ সহ আরো অনেক ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৫২বাংলা টিভির পর্তু প্রতিনিধি মনির হোসেন ।




















